যশোরে ফেইসবুকে পরিচয়: এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগে মামলা

মোবাইলে ও ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের এক পর্যায় স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থী সামান্তা বিশ্বাস (১৬)কে ফুসলিয়ে অপহরনের অভিযোগে মঙ্গলবার ২৯ নভেম্বর দুপুরে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন,যশোর সদর উপজেলা বিরামপুর কালীতলা গ্রামের জুনাধন বিশ^াসের ছেলে সাগর বিশ^াস। আসামী করেছেন, ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ী থানার সনিআখড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম ওরফে শফি’র ছেলে হ্যাপী, হ্যাপীর মাতা মোছাঃ আখি খাতুন ,পিতা খাজা শেখ এর ছেলে শফিকুল ইসলাম,সহোদর সুমন ও সুজনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।

সাগর বিশ^াস মামলায় উল্লেখ করেন, বাদির মেয়ে শামান্তা বিশ্বাস (১৬) বিরামপুর শিলারায় স্কুলে পড়াশুনা করতো। সে চলতি বছরে এস,এস,সি পরীক্ষা দিয়েছে। হ্যাপীর সাথে বাদির মেয়ের ইতিপূর্ব হতে মোবাইল ফোনে,ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পচিয়ের সূত্রধরে হ্যাপী বাদির মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের জন্য ফুসলাতো।

সামান্তা বিশ্বাস হ্যাপীর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হ্যাপী বাদির মেয়েকে জোর পূর্বক অপহরণ করে বিয়ে করবে বলে হুমকী প্রদানসহ সুযোগ খুঁজতে তাকে। উক্ত বিষয়টি বাদির মেয়ে বাদিসহ তার পিতাকে অবহিত করলে তারা দু’জন বিভিন্ন উপায়ে হ্যাপীর ঠিকানা সংগ্রহ করে হ্যাপীসহ অন্যান্য আসামীদের বিভিন্নভাবে বুঝাইলে তারা বাদির কথায় কোন কর্নপাত না করে হ্যাপীকে বিভিন্নভাবে ইন্ধন ও সহায়তা করতে থাকে এবং বেশী বাড়াবাড়ি করলে সামান্তা বিশ্বাস কে অপহরণ করে হ্যাপীর সাথে বিয়ে দিবে বলে হুমকী দিতে থাকে।

গত ২৭ নভেম্বর রোববার দুপুর পৌনে ১ টায় বাদির মেয়ে কিছু কেনাকাটা করতে বাড়ি হতে রওয়ানা করে বসত বাড়ির পিছনে দক্ষিণ দিকে রাস্তার উপর পৌছালে সেখানে পূর্ব হতে ওৎপেতে থাকা হ্যাপীসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন সামান্তা বিশ্বাস কে গতিরোধ করে অজ্ঞাতনামা আসামীদর সহায়তায় হ্যাপী সামান্তা বিশ^াসের হাত ধরে জোর পূর্বক আসামীদের রাখা একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরণ করে শহরের দিকে আসার প্রাক্কালে মেয়ের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে মাইক্রেবাসের পিছু পিছু গেলেও বাদির মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি।