যশোর হাইটেকপার্ক কোম্পানীর টাকা আত্নসাতের অভিযোগে মামলা

কোতয়ালি মডেল থানা, যশোর
কোতয়ালি মডেল থানা, যশোর

প্রতারনার মাধ্যমে মিনিস্টার হাইটেকপার্ক লিঃ কোম্পানীর ৩২ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগে শহরের পালবাড়ি শো রুমের কর্মচারি জয়ন্ত ভট্রাচার্জের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মিনিস্টার হাইটেকপার্ক লিঃ যশোর সদর এরিয়ার ডিভিশনাল ম্যানেজার মালিক সেলিম আক্তার শুক্রবার মামলা করেন। মালিক সেলিম আক্তার শহরের ষষ্ঠীতলা পুকুরপাড়ের শওকত আলী মল্লিকের ছেলে।

মামলায় সেলিম আক্তার বলেন, জয়ন্ত শো রুমে কর্মরত থাকাকালিন ২১ সালের ১ জুনের পর থেকে ২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কোম্পানির নিয়মকানুন ঠিকমতো পালন না করে বিভিন্ন রকম অনিয়ম করে আসছিলো। কোম্পানীর পন্য বিক্রির ওয়েব সাইটের সদস্য পদের আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে।

একই সাথে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বেচাকেনা করে টাকা পয়সা আতœসাতের চেষ্টা করে। বিষয়টি সন্দেহ জনক হওয়ায় সার্বিক বিষয় পর্যলোচনা করে শোরুমে অডিট করা হয়। অডিটে দেখা যায় জয়ন্ত প্রায় সময় ভূয়া ডিলার নিয়োগ করে নিজের নামে ভূয়া কিস্তিকার্ড তৈরি করে ইচ্ছামতো টাকা আতœসাত করে। ডিলারের নিকট থেকে বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা নিয়ে কোম্পানিতে জমা দেয় না। পন্য বিক্রির টাকা কোম্পানীর একাউন্টে জমা না দিয়ে আতœসাত করে। একপর্যায়ে হিসাব নিকাশ করে দেখা যায় কোম্পানির মোট ৩২ লাখ ৫৭ হাজার ৪৯ টাকার হিসাব না দিয়ে জয়ন্ত আতœসাত করে। কোম্পানির পক্ষ থেকে টাকার হিসাব নিকাশ চাইলে ও টাকা পরিশোধ করতে বললে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তালবাহানা করে।

১ ডিসেম্বর বিকেলে পালবাড়ি মিনিস্টার হাইটেকপার্ক লিঃয়ের শো রুমে অবস্থানকালে আসামি জয়ন্তের কাছে আমি (মালিক সেলিম আক্তার) ও অডিট টিম কোম্পানির টাকার হিসাব ও পরিশোধ করতে বললে সে টাকার কথা স্বীকার করে প্রতারনা করে। বিষয়টি আইনের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষে মামলা করা হয়। এবিষয়ে জানার জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফের মোবাইল নাম্বারে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফোন করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া।