চাকরিপ্রত্যাশীদের সরিয়ে দিলো পুলিশ, জাদুঘরের সামনে অবস্থান

 

অনশনের ২০০ তম দিনে রাজধানী শাহবাগ চত্বর অবরোধ করেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে নিবন্ধিত চাকরিপ্রত্যাশীরা। এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে রওনা হন। শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে সাড়ে ১২ টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বসে পড়েন। এতে দুই পাশের গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন।

কয়েকজন পুলিশের পিটুনিতে আহত হয়েছেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন। তারা হলেন, প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি আমির হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি সাব্বির শেখ, শারমিন জাহান, গুলরুখ মনি, আনজিরা খাতুন, রাজিয়া সুলতানা রথি, শরিফুল ইসলাম।

প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জি এম ইয়াছিন সমকালকে বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। আমরা এখন মোড়ে বসে পড়েছি। আমার জামা ছিঁড়ে গেছে পুলিশের পিটুনিতে। আরও অনেকে আহত হয়েছেন। আমাদের একটাই দাবি, যার যার সনদে আমাদের চাকরি দেওয়া হোক। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমাদের যেন এভাবে ঝুলিয়ে না রেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

গত ৫ জুন থেকে শাহবাগ সুফিয়া কামাল গণগ্রন্থাগারের সামনে কোটাবিহীন নীতিমালায় প্যানেলে নিয়োগের দাবিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা গণঅনশন করে আসছিলেন।

তারা বলেন, এনটিআরসিএ নতুন গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন করে সুপারিশ করছে কিন্তু পূর্বে যারা এনটিআরসিএ নিবন্ধিত চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষক আছেন, তারা নিয়োগ বঞ্চিত থেকে গেছেন। তাদেরকে চাকরির জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে না। বয়স না থাকার কারণে তারা অন্যত্র আবেদনও করতে পারছেন না। অন্যদিকে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যানের ড্রাইভার ৬ লাখ টাকায় সুপারিশ পাইয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরির জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন। আজকে তারা কিছু সময় শাহবাগ অবরোধ করে রাখে। আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।