আবাদি জমি চাষের আওতায় আনলে সংকট থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী

সারাদেশে প্রতি ইঞ্চি পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারাদেশের সব আবাদি জমি যদি চাষের আওতায় আনা যায়- তাহলে দেশে আর কোনও সংকট থাকবে না।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যথাক্রমে আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু ও রুহুল আমিনের শপথ পড়ান। পরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সদস্যদের শপথ পড়ান।

পড়ুন: কে কতটুকু উন্নয়ন করেছে, জনগণকে বিবেচনার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি যাতে আমাদের দেশের জনগণকে বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আপনারও কিছু দায়িত্ব আছে এবং আপনাকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এ ব্যাপারে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে নিজের খাবার নিজে উৎপাদনে মানুষকে সচেতন করতে সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রতিটি খাতে কঠোরতা দেখাতে এবং সঞ্চয় করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। কেননা বিশ্বজুড়ে আমদানি পণ্যের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে।

শেখ হাসিনা দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে- জনপ্রতিনিধিদের স্থানীয় উন্নয়ন তহবিলের যথাযথ ব্যবহার এবং স্থানীয় প্রকল্পের মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে বলেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে আপনাকে বরাদ্দকৃত স্থানীয় তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে। কারণ উন্নয়নের দিক থেকে কোনও এলাকা পিছিয়ে নেই।

প্রধানমন্ত্রী চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে তাদের দেখাশোনা করার পরামর্শও দেন।

তিনি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে জনপ্রতিনিধিদের জনকল্যাণে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিনামূল্যে ঘর করে দেওয়ায় সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জনপ্রতিনিধিদেরও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সারাদেশে ভূমিহীন ও ভূমিহীনদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলেন।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ৩৫ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে ঘর-বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে।