ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীরা

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন। ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে’- এই স্লোগান নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে এই সম্মেলন। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি পূরণের পর এবারের সম্মেলন থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ও তুলে ধরা হবে।

সম্মেলনকে ঘিরে এরই মধ্যে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছেন। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও কালীমন্দির গেট দিয়ে প্রবেশ করছেন তারা। আজ সকাল ৭টা থেকে সম্মেলনে ঢোকার গেট খুলে দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। এ সময় দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলন মঞ্চের দু’পাশে দাঁড়িয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরাও।

উদ্বোধন শেষে আধাঘণ্টার সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই সম্মেলনের ‘থিম সং’ পরিবেশিত হবে। সংগীত ও নৃত্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য। উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের প্রতিবেদনসহ গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্রের সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেবেন কাউন্সিলররা। এর পরই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। কাউন্সিল অধিবেশন শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে।

আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কাউন্সিলর ও সমসংখ্যক ডেলিগেটসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন। বিএনপির তিন নেতাসহ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের এই অধিবেশনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর বাইরে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, পেশাজীবী ও নাগরিক সংগঠনের শীর্ষ নেতা, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ ১৫ হাজার বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথিও সেখানে আসবেন। সব মিলিয়ে লক্ষাধিক মানুষ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত থাকবেন।

সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বর্তমান কমিটির তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ১৯ ডিসেম্বর। গত ২৮ অক্টোবর দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ২৪ ডিসেম্বর ২২তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হয়।