যশোর কোর্টে বন্দিদের জিম্মি করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

court jessore
ফাইল ছবি

যশোর সদরের চীফ জুডিসিয়াল কোর্ট আদালতের হাজত থানাকে পুঁজি করে কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা দৈনিক হাজার টাকা উপার্জন করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ওকালত নামায় আসামী কর্তৃক স্বাক্ষর দেয়ার দোহায় দিয়ে এবং দেখা সাক্ষাত এমনকি খাবার দেয়ার ক্ষেত্রে আদায় করা হচ্ছে চরম সর্তকতার মাধ্যমে। এ ব্যাপারে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক অবগত নন বলে জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিদিন সকাল ৮ টার পর পর যশোর সদর আমলী আদালতের হাজত খানায় যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের মধ্যে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কোর্ট হাজত খানায় থাকা বন্দিদের আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে মাথাপিছু নূন্যতম ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা নিয়ে দেখা ও সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা । যারা টাকা প্রদান করেন তাদেরকে কোর্ট হাজতখানা প্রধান গেটের সামনে বন্দি আসামীদের সাথে তাদের আত্মীয় স্বজনদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেন। হাজত খানায় প্রবেশের মুখে বাম পাশে একটি টেবিলের দক্ষিণ পাশে চেয়ারে একজন এটিএসআই। যিতি হাজত রেজিষ্ট্রারে আসামীদের নাম ঠিকানা ও মামলা মোকদ্দমা উল্লেখ করে পূর্বক লেখা । সকাল থেকে একজন এটিএসআই প্রধান দায়িত্ব ও বাকি এটিএসআই সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া, একজন পুলিশ কনস্টেবল অবৈধভাবে বন্দি আসামীদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে লিয়াঁজো করে দেখা সাক্ষাত ও বন্দিদের খাবার দেয়া বাবদ অবৈধভাবে অর্থ আদায় করছেন। সূত্রগুলো বলেছেন, হাজত খানায় প্রতিদিন একজন কনস্টেবলকে বন্দি আসামীদের আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে মাথাপিছু নূন্যতম ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা আদায় করার জন্য কোর্ট হাজত খানায় দায়িত্বরত ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি এ দায়িত্ব দেন। সূত্রগুলো আরো বলেছেন, কোর্ট হাজত খানায় দায়িত্বরত এটিএসআই দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিরা আইনজীবীদের সহকারীদের কাছ থেকে ওকালত নামায় স্বাক্ষর বাবদ কখনও ৩০ আবার কখনও ৫০ টাকা গ্রহন করেন। আইনজীবীদের সহকারীরা কোট হাজত থানায় দায়িত্বরত এটিএসআইয়ের মাধ্যমে বন্দি হাজতী ও কয়েদি আসামীদের মাধ্যমে ওকালত নামায় স্বাক্ষর করান। যখনই বন্দি আসামীদের দেখা সাক্ষাত বাবদ নূন্যতম ১শ’ থেকে ৩শ’ টাকা নেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ হয়।

তখনই ওকালত নামায় বন্দি হাজত খানায় থাকা ব্যক্তিটির স্বাক্ষর করানো বাবদ ৫০ টাকা প্রদান করতে হয়। যশোরের পুলিশ সুপার প্রলণ কুমার জোয়াদ্দার যোগদানের পর কোর্ট হাজত খানায় বন্দিদের জিম্মি করে অবৈধখভাবে অর্থ উর্পাজন বন্ধ করার নির্দেশ আসে। তখন থেকে ওকালত নামায় বন্দি হাজতীর স্বাক্ষর করানোর দোহায় দিয়ে মাথাপিছু বন্দি আসামী বাবদ ৫০ টাকা গ্রহন করেন। তার ফাঁকে প্রতিদিনেরকার হিসাব বাড়াতে বন্দি হাজতীদের দেখা সাক্ষাত বাবদ নূন্যতম ১শ’ থেকে অধিক ৫শ’ টাকা পর্যন্ত আসামী দেখে আদায় করেন হাজত খানায় কর্মরত এটিএসআইগন। হাজত খানায় বন্দি আসামীদের জিম্মি করে প্রতিদিন অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের ব্যাপারে কর্মরত এটিএসআইগনদের কাছে জানতে চাওয়াহলে সকলে বলেন এখন আর আগের মতো টাকা নেওয়া হয়না। ওকালত নামায় বন্দি আসামীদের স্বাক্ষর বাবদ মাথা পিছু ৫০ টাকা নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যশোরের বিভিন্ন পেশার মানুষ।