অশোক সেনের দেশপ্রেমের চেতনা ছড়িয়ে দিতে যশোরে অশোক সেন স্মরণানুষ্ঠান

সাংবাদিক অশোক সেনের সততা ও দেশপ্রেমের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রথম আলো যশোর অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক অশোক সেনের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বক্তারা এই আহ্বান জানান।
প্রথম আলো যশোর বন্ধুসভা ও অশোক সেন স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে এই স্মণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অশোক সেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গে স্মরনার্থীদের তালিকা তৈরিতে সহযোগিতা করতেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হয়েও সনদপত্র নিয়ে গেজেটে নাম লেখাতে কখনো আগ্রহী ছিলেন না। তাঁর দেশপ্রেমের আদর্শ অনুসরণ করলে তাঁর প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো হবে।’
যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাজেদ রহমান বলেন, ‘অশোক সেন ছিলেন সুসাংবাদিকতার পথিকৃৎ। তাঁর সততা ও নিষ্ঠার জন্যে তিনি শত বছর বেঁচে থাকবেন। নতুন প্রজন্মের মধ্যে তাঁর আদর্শ ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে পারলে অশোক সেনের আত্মা শান্তি পাবে।’
স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যশোরের সভাপতি সুকুমার দাস, মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন,
জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, টিআইবি’র সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি শাহিন ইকবাল, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ যশোর জেলা শাখার সভাপতি শ্রাবণী সুর, বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর গুপ্ত, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন, প্রথম আলোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, বন্ধুসভার বন্ধু লিটন সাইদুর প্রমুখ

যশোর বন্ধুসভার সভাপতি লাকি রানী কাপুড়িয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দ্র গোস্বামী।
সভার শুরুতে অশোক সেনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় বন্ধুসভার বন্ধুরা সমবেত কণ্ঠে ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ গান পরিবেশন করেন।
২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি অশোক সেন দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।