ইভিএম সংরক্ষণে পর্যাপ্ত জনবল নেই: ইসি আহসান হাবিব

‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জসমূহ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। ছবি- সমকাল।
‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জসমূহ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। ছবি- সমকাল।

ইভিএম সংরক্ষণের পর্যাপ্ত জনবল নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। তিনি বলেছেন, ‘‌ইভিএম যেভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, চার্জ দিতে হবে; তার (পর্যাপ্ত যোগ্য) জনবল আমাদের নেই। আইটির জনবলকে ঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।’‌

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে ‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জসমূহ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‌আমরা (ভোটগ্রহণে) যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করব, তাকে আয়ত্তে নিতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটারদের আস্থা অর্জন। আমরা মনে করি, আস্থা অর্জনের দিক দিয়ে আমরা অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছি।’‌

তিনি বলেন, ‘‌আমাদের মাঝে সুশাসনের বড় অভাব। আমার যে দায়িত্ব তা কতটুকু আন্তরিকভাবে পালন করছি, এটা বিবেচনার বিষয়।’‌

ইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্যমতের প্রয়োজন আছে। রাজনৈতিক দলগুলো যেন একমতে কাজ করতে পারে। সকলের সাথে আলোচনা করে গ্রহণযোগ্য কোনো সমাধান যদি বের করতে পারি, তাহলে সবকিছু সহজ হবে।’‌

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‌’প্রশাসন-পুলিশ, শিক্ষকসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। নির্বাচনের মতো বৃহৎ কর্মযজ্ঞ কেবল একক কোনো সংস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্যমে এক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হবে।’‌

তিনি বলেন, ‘‌বর্তমান কমিশন প্রায় পাঁচশটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছে। এগুলোর প্রায় সবকটিতে ভোট ইভিএমে নেওয়া হয়েছে। ইভিএমে জাল ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইভিএম ব্যবহারে কোনো স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি, কেউ মৃত্যুবরণ করেনি এবং ব্যালট লুট হয়নি। ইভিএমের তথ্য কখনো হারিয়ে যাবে না।’‌

তিনি আরও বলেন, ‘‌নির্বাচনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বজায় রাখা এবং ভোট কেন্দ্রে সকল ধরনের অনিয়ম রোধ করতে বিভিন্ন সময় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সকল দলকে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে হবে। আগামী নির্বাচনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।’‌

খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার দেবনাথ এবং খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ইউসুপ আলী। স্বাগত বক্তৃতা দেন খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমাযুন কবির।