যশোরে মা মেয়ের উপর হামলার ঘটনায় মামলা

জমিজমা ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার ঘুনী দোলনঘাটা গ্রামে প্রকাশ্যে বাড়িতে প্রবেশ করে গালিগালাজের এক পর্যায় প্রতিবাদ করলে মা মেয়েকে এলোপাতাড়ী মারপিট ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। এসময় গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটানোর অভিযোগে তিন জনের নাম উল্লেখসহ তাদের অজ্ঞাতনামা ২/৩জনের বিরুুেদ্ধ মামলা হয়েছে।

রোববার ৮ জানুয়ারী রাতে মামলাটি করেন,যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার ঘুনী দোলনঘাটা গ্রামের সুরমান আলী বিশ^াসের ছেলে হাবিবুর রহমান। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,সদর উপজেলার ঘুনী দোলনঘাটা গ্রামের মৃত মতলেব মোল্যার ছেলে শহিদুল ইসলাম মোল্যা,সহোদর ফজলুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম মোল্যার ছেলে শাহাবুদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামীরা পর সম্পদ লোভী। জমিজমা ভাগবাটোয়ারা বিষয়কে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে বাদি ও তার শ^শুর বাড়ির লোকজনদের মারপিট খুন জখমের হুমকী দিয়ে আসছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে আসামীরা হাদে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে গত রোববার ৮ জানুয়ারী দুপুর দেড়টায় বাদির শ^শুর বাড়ির উঠানের মধ্যে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন বাদির শ^াশুরী শেফালী বেগম (৪৫) আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামীরা শেফালী বেগমকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করে। শহিদুল ইসলাম মোল্যা শেফালী বেগমের মাথার মাঝখানে ধারালো দা দিয়ে কোপ ও মাথার পিছনে ২টি কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। আসামী ফজলুর রহমান লোহার রড দিয়ে শেফালী বেগমের দুই হাতে আঘাত করে হাড় ভাঙ্গা জখম করে।

ঘটনাটি দেখে বাদির স্ত্রী শেফালী বেগমের মেয়ে লুৎফুন্নাহার লতা (২৩) ঠেকাতে এলে আসামী শাহাবুদ্দীন বাঁশের লাঠি দিয়ে লতার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে জখম করে। শাহাবুদ্দিন লতার পরনের কাপড় চোপড় ধরে টানাটানি করে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় শেফালী ও লতার চিল্লাপাল্লা শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকী দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। বাদির শ^াশুরী ও স্ত্রীকে আহত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।