জলবায়ু সহিষ্ণু শস্যের ১০ জাত উদ্ভাবিত হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

abdur razzak
ফাইল ছবি

জলবায়ু সহিষ্ণু শস্য উদ্ভাবনে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন জাত ও প্রযুক্তির গবেষণা করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। সম্প্রতি জলবায়ু ঘাতসহিষ্ণু শস্যের ১০টি জাত উদ্ভাবিত হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্ন উত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জলবায়ু সহিষ্ণু শস্য উদ্ভাবনে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন জাত ও প্রযুক্তির গবেষণা কার্যক্রম পরচিালনা করছে। সম্প্রতি ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জলবায়ু ঘাতসহিষ্ণু ১০টি জাত উদ্ভাবিত হয়েছে।

উদ্ভাবিত জাতগুলো হলো-১. গম ও ভুট্টার উন্নতর বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) (জুলাই ২০১৫-জুন ২০২০)-(বিএআরআই), ২. বাংলাদেশে তেলবীজ ও ডাল ফসলের গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) (এপ্রিল ২০১৬-ডিসেম্বর ২০১১)-(বিএআরআই), ৩. বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ (১ম সংশোধিত) (অক্টোবর ২০১৭-মার্চ ২০২৩)-(বিএআরআই), ৪. পরমাণু কৌশলের মাধ্যমে হাওর, চরাঞ্চল, লবণাক্ত ও পাহাড়ি এলাকা উপযোগী জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল জাত ও লাভজনক ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ফসলের নিবিড়তা বাড়ানোর মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন এবং বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযোজন প্রকল্প-(বিনা), ৫. জিওবির অর্থায়নে অধিক ফলনশীল হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবন, গবেষণা ও আধুনিকায়ন প্রকল্প শীর্ষক প্রকল্প-(ব্রি), ৬. কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত Development of Short Duration Cold Tolerant Rice for Haor Areas of Bangladesh প্রকল্প (ব্রি), ৭. NATP-II এর অর্থায়নে পরিচালিত DNA marker-assisted breeding for producing highly stress tolerant elite rice varieties for coastal Bangladesh by introgression of multiple salt loci (QTLs) into commercial • cultivars প্রকল্প-(ব্রি)।

কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, উপকূলীয় বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে পানি সম্পদ ও মাটির লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত পতিত জমিতে লবণাক্ততা সহনশীল উচ্চ ফলনশীল বোরো ধান যেমন ব্রি ধান৪৭, ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৯৭ ও ব্রি ধান১৯ জাতগুলো বিস্তারের মাধ্যমে পতিত জমি ধান চাষের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে যা দেশের মোট ধান উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এ কার্যক্রম বর্তমানে চলমান আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।