যশোরে দুই চাঁদাবাজ বার্মিজ চাকুসহ গ্রেফতার

চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা এক ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ীর কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে হুমকী ধামকী দেওয়ার এক পর্যায় চাকু ঠেকিয়ে মারপিটের সময় স্থানীয় জনগন দুই চাঁদাবাজকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

এ সময় এক চাঁদাবাজের কাছ থেকে একটি বার্মিজ চাকু স্থানীয় জনগন উদ্ধার করে পুলিশের কাছে দিয়েছে। জনগনের হাতে আটক চাঁদাবাজ হচ্ছে,যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া সার গোডাউনের মোড় এলাকার হবির ছেলে মোহাম্মদ গাজী ও শংকরপুর মুরগির ফার্ম কালিতলা গ্রামের ড্রাইভার কালু বাবু দেবনাথের ছেলে নিরব দেবনাথ। এসময় তাদের সহযোগী অপর চাঁদাবাজ সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের বর্তমানে চাঁচড়া রায়পাড়া সার গোডাউন মোড় এনায়েত মাষ্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া সিরাজের ছেলে হাসান। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী গভীর রাতে ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ী শহরের চাঁচড়া (রায়পাড়া ইকবাল এর বাসপট্টি মান্নান এর বাড়ির ভাড়াটিয়া) বিপ্লব হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম ভোলা কোতয়ালি মডেল থানায় আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তিনি ভাঙ্গাড়ী ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ২১ জানুয়ারী সন্ধ্যা অনুমান ৭ টায় সে ভাঙ্গাড়ী ফেরি করে আসার সময় উল্লেখিত আসামীরা চাঁচড়া রায়পাড়া সার গোডাউন মোড় সংলগ্ন সোবহান এর বাড়ির সামনে তাকে পেয়ে বলে এই এলাকায় থাকতে হলে এবং ফেরি করে ভাঙ্গাড়ীর ব্যবসা করতে হলে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। বাদি ওই দিন চলে আসে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় আসামীরা বাদির কাছে উক্ত চাঁদার টাকা দাবী করে আসছিল। বাদি তাদের চাঁদার টাকা দিতে না পারায় বাদিকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে।

বাদি চাঁচড়া রায়পাড়া জনির দোকানে ভাঙ্গাড়ীর মালামাল দিয়ে বাসায় ফেরার পথে বুধবার ২৫ জানুয়ারী রাত অনুমান সাড়ে ৮ টায় চাঁচড়া রায়পাড়া সার গোডাউন মোড়স্থ জনৈক তপন এর বাড়ির সামনে পৌছালে পূর্ব হতে হাতে চাকু নিয়ে ওৎপেতে থাকা আসামীরা বাদিকে আটকিয়ে তার নিকট তাদের পূর্বের দাবিকৃত চাঁদার টাকা চায় এবং চাকু দিয়ে হত্যা করে ফেলবে বলে হুমকী দিতে থাকে। বাদি চাঁদার টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ গাজী ও নিরব দেবনাথ বাদিকে এলোপাতাড়ীভাবে কিল,ঘুষি লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।

জীবন বাঁচানোর জন্য বাদি ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মোহাম্মদ গাজী ও নিরব দেবনাথকে ধরে ফেলে। এ সময় তাদের সহযোগী হাসান কৌশলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় জনগণ দুই চাঁদাবাজকে গণপিটুনী দেয়। জনগণ চাঁদাবাজ মোহাম্মদ গাজীর নিকট হতে একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে। পরে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে দুই চাঁদাবাজকে হেফাজতে গ্রহন করে। মোহাম্মদ গাজীর বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা ও সাধারণ ডাইরী হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।