যশোরে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত ৬

বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজারে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে।এতে ৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের যশোর ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এঘটনায় গোটা চুড়ামনকাটি বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।ঘটনার পর থেকে চুড়ামনকাটি বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিকালে তার কর্মীদের নিয়ে বাজারের হাই স্কুল রোড়ে তার বাসার সামনে বসে ছিলেন। এসময় বর্তমান চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ভাইপো লিপু ও সেলিম উক্ত রাস্তা দিয়ে চুড়ামনকাটি বাজারে আসছিলো। লিপুর অভিযোগ কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলে সেলিম ও লিপু মারপিট করা হয়।এতে যুবলীগ নেতা সেলিম গুরুত্বর আহত হয়।
চুড়ামনকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন জানান, ঘটনার সময় তিনি ষ্টেশন রোডে কম্বল বিতারণ করছিলেন। সেলিম ও লিপুকে মারপিট করার পর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমাকে মারার উদ্দ্যেশে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আসে। এ সময় তারা আমাকে না পেয়ে আমার কর্মী আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান, ইনছানুর রহমানকে মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে। পরে তারা ষ্টেশন রোডে হামলা চালিয়ে আলমগীর নামের আর একজনকে পিটিয়ে আহত করে।
আহতদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে যুবলীগ নেতা সেলিম ও আব্দুর রাজ্জাকের অবস্থা গুরুত্বর।
সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের ভাইপো লিপু ও কর্মি সেলিমসহ ১০/১২ জন ক্যাডার তার উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার নেতাকর্মীদের উপর আগে হামলা চালালে মারামারির ঘটনা ঘটে। তিনি আরো জানান, যুবদলের নেতাকর্মীরা জোটবন্ধ হয়ে বর্তমান চেয়ারম্যানের হয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। তিনি ঘটনার সুষ্টু তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এস আই সেলিম হোসেন জানান,ঘটনার পরপরই পুলিশ বাজারে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমান বাজারের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে কি কারণে মারমারির ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বাজারে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে আহতদের পক্ষ থেকে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।