তদন্তের স্বার্থে নুরুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ চায় সিআইডি

আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা করে ঢাকায় পাঁচটি বাড়িসহ বিপুল সম্পদের মালিক বনে যাওয়া নুরুল ইসলামের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ সোমবার নুরুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার আবেদন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ আদালতে জমা দেওয়া হয়।

সিআইডি জানায়, মাদক ব্যবসায়ী নুরুল অবৈধ আয়কে বৈধ করতে কাগুজে প্রতিষ্ঠান খুলে টাকা লেনদেন করেছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে দুটি বেসরকারি ব্যাংকের শ্যামলী শাখায় তার ও প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা তিন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আবেদন করা হয়েছে।

সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নুরুল ইসলামকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বৈধ আয়ের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তার প্রতিষ্ঠানগুলোর ঠিকানাও দিতে পারেননি।

তিনি আরও বলেন, তদন্তের স্বার্থে আদালতে তার তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আবেদন করেছি। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেছেন।

নুরুল ইসলামের আয়কর বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে তার কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। অস্থাবর সম্পত্তি বলতে ছিল সাড় ৮ লাখ টাকা। ১১ বছর পর তার আয়কর বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫ হাজার ৬৩১ টাকা দেখানো হয়। আর ২০২১ সালে তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার সম্পদ দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ৩৬ হাজার ৫১ টাকা।

নুরুল ও তার স্ত্রীর নামে মোট ১১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ওই সব হিসাবে গত এক যুগে ১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এসব বিষয়ে নুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, জাল টাকাসহ ঢাকার আদাবর এলাকা থেকে ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর র‍্যাব তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অনুসন্ধানের জন্য সিআইডিকে চিঠি দেয়।

দীর্ঘ ১৫ মাসের অনুসন্ধানের সিআইডি ঢাকার মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় নুরুলের পাঁচটি বাড়িসহ ১৩ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে। মাদক মামলায় জামিনে মুক্ত হওয়ার পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসছেন না।