চট্টগ্রামে মেট্রোরেল হবে, তাতে সন্দেহ নেই: কাদের

ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামে পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসনে এক অনুষ্ঠানে এই মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাণিজ্যিক রাজধানী ও বন্দর নগরী চট্টগ্রাম হচ্ছে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। তাই চট্টগ্রামের যানজট নিরসনে তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে যে মেট্রোরেল হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই আজকের দিনটি চট্টগ্রামের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে মেট্রোরেল নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম উদ্বোধনের পাশাপাশি চট্টগ্রামের পরিবহন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো নিয়ে আলোচনা হয়। এতে সিটি করপোরেশন, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ শিগগির শুরু করা হবে। দাতা সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা হবে। বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। স্ক্যানার স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে টানেল উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে। এরপর যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এ সময় ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় এমআরটি ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর লেন করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সড়কপথ ও সেতু মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রৌশন আরা মান্নান, অর্থনৈতিক সম্পর্কিত বিভগের সচিব শরীফা খান, কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। এ সময় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শিরীন আকতার, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুব আলমসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।