দেড়লাখ ইভিএমের মধ্যে ৪০ হাজারের সংস্কার লাগবে: প্রকল্প পরিচালক

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংগ্রহে থাকা দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মধ্যে কাগজের বাক্সে করে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো ৪০ থেকে ৪৫ হাজারটি ইভিএম কোনো না কোনোভাবে ত্রুটিপূর্ণ। তাই এগুলো ব্যবহারের আগে সংস্কারের প্রয়োজন হবে। তবে এই মুহূর্তে ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমের সঠিক পরিসংখ্যান ইসির কাছে নেই।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইভিম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ইভিএমের চলমান প্রকল্পের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেড়শ’ আসনে ইভিএমে ভোটের পরিকল্পনার কথা জানালেও কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত নতুন প্রকল্পে সায় মেলেনি পরিকল্পনা কমিশনের। ২০১৮ সালে তৎকালীন ইসির কেনা হাতে থাকা দেড় লাখ ইভিএমে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ আসনে ভোট করা সম্ভব হবে বলে জানায় এ কমিশন। প্রকৃতপক্ষে কত ইভিএম কার্যকর রয়েছে এবং কয়টি আসনে ইভিএমে ভোট হবে সে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে আজ বুধবার ইভিএম প্রকল্প পরিচালক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৭০ হাজারটি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) সংরক্ষিত রয়েছে এবং ৮০ হাজার মেশিন মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার হয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন প্রকল্প স্থগিত হওয়ায় ইসির হাতে থাকা দেড় লাখ ইভিএম সর্বোচ্চ ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। কাজটি চলমান রয়েছে। তাই এই মূহূর্তে বলা সম্ভব নয় কতগুলো ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব। ইতোমধ্যে বিদ্যমান ইভিএমের প্রায় এক তৃতীয়াংশ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রক্রিয়াধীনও রয়েছে।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী করার সব প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান। তিনি জানান, ‘কোয়ালিটি চেকিং’ শেষে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেনটেইনেন্সের পর নির্বাচনে ব্যবহার উপযোগী ইভিএমের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণ করা যাবে।