নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার এবং সরকারি দলের মদদপুষ্টদের লুটপাটের খেসারত দিচ্ছে সাধারণ জনগণ। তাদের লুটপাটের টাকার সংস্থান করতেই গণবিরোধী সরকার গত ১৪ বছরে ১২ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, রেকর্ড মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের দুর্ভোগ এখন চরমে। এর মধ্যেই দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী, অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত।
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারের সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, দুঃশাসনের খেসারত দিচ্ছে জনগণ। অগণতান্ত্রিক সরকার জনগণের দুর্ভোগের তোয়াক্কা না করে বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি করছে। গত বছর রেকর্ড হারে জ্বালানি তেলের দাম বাগানো হয়েছে।
কিছুদিন আগেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ। ভোজ্যতেল, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের দাম এখন সাধারণের নাগালের বাইরে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে প্রতিটি জিনিসের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে।
মান্না বলেন, রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন ও দফায় দফায় এর মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে কেবলমাত্র ক্ষমতাসীনদের অনুগত এবং মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আয়ের পথ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
কোনো বিদ্যুৎ না নিয়েই গত ১১ বছরে সরকার বিদ্যুৎ এসব কোম্পানিকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। এর মধ্যে গত ৩ বছরে দেওয়া হয়েছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা। এই স্বজনতোষী ব্যবস্থার বৈধতা দিতে সংসদের মাধ্যমে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে।
এ সময় তিনি সরকারের অগণতান্ত্রিক এবং গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সকল বিরোধী শক্তির প্রতি আহবান জানান।
