আ’লীগ সরকারকে বিদায় করতে না পারলে দেশের মানুষ বাঁচবে না

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এ দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে, দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে, দ্রব্যমূল্য কমাতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করতে হবে। এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে দেশের মানুষ বাঁচবে না।’

শনিবার যাত্রাবাড়ী ডেমরা রোডে নবী টাওয়ারের সামনে যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপি উদ্যোগে গণতন্ত্র পুনরায় উদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে পদযাত্রা পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে কেন? কারণ, তারা জানে- যদি জনগণ ভোট দিতে পারে তাহলে তাদেরকে টেনে গদি থেকে নামিয়ে দেবে। তাই তারা ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে করেছে। তারা জানে- জনগণ যদি দিনে ভোট দিতে পারে তাহলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার ও তার নেতাকর্মীরা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মধ্যবিত্ত গরিব হয়ে গেছে, গরিব আরও গরিব হয়েছে। তারা দুই বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারে না। অতএব, এই সরকার জনগণের সরকার না। জনগণের সরকার না বলেই তারা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে না। এ সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। এই অর্থনীতিকে তারা আর মেরামত করতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে দেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই বিএনপি এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তাই যত দ্রুত এ সরকারের বিদায় হয় ততই এদেশের কল্যাণ। আমরা দশ দফা দাবি দিয়েছি, আমাদের দাবি মানা না হলে তাহলে দেশের জনগণ জানে কীভাবে এদেরকে বিদায় করতে হয়।’

বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে কঠোর আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘স্বৈরাচারী এরশাদকে বিএনপি’র নেতৃত্বে আপনারা পতন ঘটিয়েছিলেন। আগামী দিনেও এই সরকারের পতন করার জন্য যে আন্দোলন সংগ্রাম আসবে তার জন্য সবাই প্রস্তুত থাকবেন।’

পদযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নবীউল্লা নবী, যাত্রাবাড়ী থানা সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাদল সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য জামশেদুল আলম শ্যামল সহ যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।