যশোরে বিএনপি’র মানববন্ধন

যশোর জেলা বিএনপির মানববন্ধনে দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, মহান স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে যদি আপনাদের মধ্যে ন্যূনতম স্বাধীনতা চেতনা অবশিষ্ট থাকে । তাহলে জনগণের সকল যৌক্তিক দাবি দাবা মেনে নিয়ে পদ ত্যাগ করুন। তাদের ভোটাধিকার,মৌলিক অধিকার সর্বোপরি সকল গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সকল রাজনৈতিক দল ও দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্যে দিয়ে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির মধ্য দিয়ে জনগণের মত প্রকাশের ব্যবস্থা করুন।

গ্যাস-বিদ্যুৎ,চাল,ডালসহ সকল প্রকার নিত্যাপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। নীল রতন ধর সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন জন¯্রােতে রূপ নেয়। এসময় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন,স্বাধীনতার মাসে জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে হচ্ছে। নাম মাত্র স্বাধীন দেশের নাগরিকদের কথা বলা কিংবা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। নেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা । জনগণের ঘরে খাবার নেই। চারদিকে শুধু নেই নেই আর নেই।

স্বাধীনতার চেতনা হলো একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ । যে দেশ হবে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, তাদের কথা বলা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা,বিচার বিভাগের স্বাধীনতা , সর্বোপরি জনগণের সকল মৌলিক অধিকার অক্ষুণœ থাকবে। সেই স্বপ্ন পূরণের নিমিত্তে আজ থেকে ৫২ বছর পূর্বে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাদের সেই স্বপ্নকে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার পদ দলিত করেছে। আজকে দেশের নিরীহ নিরাপরাধ জনগণ যখনই বিএনপির নেতৃত্বে যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে আন্দোলন করছে, তখনই তাদের অনুগত পুলিশ প্রশাসন সেই যৌক্তিক আন্দোলনকে বাধা গ্রস্থ করছে। যে জনগণের টাকায় প্রজান্ত্রের কর্মচারীদের বেতন ভাতা হয়, আজ তারা জনগণের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা শাসক দলের অনুগত হয়ে জনগণের মনের কথা বোঝে না। এজন্য জনগণ রাস্তায় নামলে তারা বিচলিত হয়ে যায়। অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বর্তমানে সংসদে যারা প্রতিনিধিত্ব করেন, তারা কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। তাই অবিলম্বে এই অবৈধ সংসদ ভেঙে দিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া,দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বিএনপির শক্তির উৎস জনগণ। জনগণের কষ্টের সারথী হয়ে তাদের শান্তি ও স্বস্তিতে রাখার নিমিত্তে বিএনপি আন্দোলন করছে। আসন্ন পবিত্র রমজানে যে রোজাদের কষ্ট না হয় ,তার জন্য সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমিয়ে জনগণের ক্রয়ের ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,সদস্য মো.মুছা, মিজানুর রহমান খান, বিএনপির যশোর নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ আঞ্জুরুল হক খোকন, ,মণিরামপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন,শার্শা উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হাসান জহির,চৌগাছা পৌর শাখার সভাপতি সেলিম রেজা আওলিয়ার,নওয়াপাড়া পৌর শাখার সভাপতি আবু নঈম,কেশবপুুর পৌর শাখার সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস,জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রাশিদা রহমান,নগর যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম,সদস্য সচিব শেখ রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ। মানববন্ধন পরিচালনা করেন,জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু।