স্বার্থান্বেষী মহল ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে, চিত্রাংকন আলোচনা, ও কেককাটার মধ্যে দিয়ে বেনাপোলে উদযাপিত হয়েছে জাতির জনকের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদ প্রদত্ত জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসির এক জরিপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের ল্েয বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহন করতে শুরু করেন ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্য সহ নিহত হন। কথাগুলো বললেন জাতির জনকের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিাসেবে সাবেক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমজান আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি আশরাফুল আলম লিটন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র ও মরিয়ম মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের সভাপতি আশরাফুল আলম লিটন মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধায় পুস্প স্তবক অর্পন করেন । এরপর জাতির জনকের প্রতিকৃতিত্বে ১০৩ টি ফুল দিয়ে মোনাজাত ও কেক কেটে উদযাপন হয় ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতিয় শিশু দিবস।

এর আগে বেলা ১০ টার সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও জতির জনকের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতিয় শিশু দবিস উপলক্ষে কেক কাটা চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা হয়।

প্রধান অতিথি আশরাফূল আলম লিটন বলেন,আজ ১৭ মার্চ। বাংলাদেশীদের জীবনে খুবই গুরুত্বপুর্ণ মাস। এই মাসে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করা হয়। সে তো ১৯৭১ সালের ঘটনা। তবে এর আগে ১৯২০ সালে মার্চ মাসে বিশাল ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন যদি এই ঘটনা না ঘটত তবে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্য রকমের হতে পারত। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ ভারতীয় উপমহাদেশের তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহাকুমায় টঙ্গিপাড়া গ্রামে একটি শিশুর জন্ম হয়। সেই শিশু আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন এই শিশুটি জন্ম শুধু তার পরিবারের জন্য নয়। তার জন্ম সমগ্র জাতির জন্য । সেদিন যদি এই শিশুটির জন্ম না হতো তাহলে আমরা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র আলাদা ভুখন্ড এবং লাল সবুজের পতাকা পেতাম না।

মেয়র লিটন বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের ভালবাসতেন। তিনি শিশুদের নিয়ে চিন্তা করতেন কি ভাবে এদেশের শিশুদের ভালো লেখা পড়া ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার করে গড়ে তোলা যায়।একটি দেশের সম্পদ সে দেশের মানুষ। তবে তাদের ছোটবেলা থেকে ভালো ভাবে লেখা পড়া করে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাঁড়াতে হবে। এই ছিল জাতির জনকের চিন্তা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইন্তাজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, হাসান ওয়াজেদ. মাহমুদা সুলতানা, সেলিনা খাতুন, জহুরা খাতুন, আঃ খালেক, আল-মামুন সাব্বির আহমেদ, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।