যশোরে তরমুজ ব্যসায়ীদের প্রতারণার ফাঁদে ক্রেতারা

যশোরে তরমুজ কিনে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কেমিকেল দিয়ে পাকানো তরমুজ বিক্রি করে ক্রেতাদের পকেট কাটছেন বিক্রেতারা। প্রতিদিন এমন অভিযোগ আসলেও নেই কোন অভিযান।
পবিত্র রমজান এবং প্রচন্ড গরমে যশোরে চাহিদা বেড়েছে রসাল ফলের। তার মধ্যে বেশি চাহিদা তমুজের। পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ তরমুজ ইফতারির আইটেমে রাখছেন রোজাদাররা। আর এই সুযোগ নিয়ে নানাভাবে ঠকাচ্ছেন বিক্রেতারা। অপরিপক্ষ কেমিকেল দিয়ে ছাড়া হচ্ছে বাজারে। যা কিনে শুধু ঠকছেন না পেটের পীড়া জনিত রোগে ভুগছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের বেজপাড়ার এক বাসিন্দা জানান, শনিবার বিকালে দড়াটানা থেকে ২৭০ টাকা দিয়ে একটি তরমুজ কেনেন তিনি। ইফতারির সময় কেটে দেখেন তরমুজটি পচা। সন্ধ্যার পর তরমুজটি দোকানে নিয়ে যান তিনি। প্রথমে দোকানি তরমুজটি পচা নয় বলে দাবি করলে ক্রেতা চ্যলেঞ্জ করেন। এসময় তিনি বলেন, তারা যেভাবে কেনেন সেইভাবে বিক্রি করেন। তিনি কোথা থেকে তরমুজ সংগ্রহ করেছেন জানতে চাইলে বলেন, মণিহার এলাকার রণির আড়ত থেকে ওই তরমুজ নিয়ে বিক্রি করছেন।
এসময় সেখানে রনির আড়তের একজন প্রতিনিধি উপস্থিত হন। তিনি বলেন, ক্ষেতেল থেকে যে তরমুজ আসছে তাই ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। পচা ভালোর হিসেব তারা রাখেন না।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে তরমুজ পরিপক্ষ হওয়ার উপযুক্ত সময় বৈশাখ জৈষ্ঠ মাস। কিন্তু এবার রমজানের শুরুতে বাজারে ভরপুর তরমুজ দেখা গেছে। রমজানের বাজার ধরার জন্য অসাধু ক্ষেতেল মালিক এবং আড়তদাররা অপরিপক্ষ তরমুজ কৃত্রিমভাবে পাকিয়ে তা বাজারজাত করছে। এ ক্ষেত্রে তারা সিরিঞ্জ দিয়ে ক্ষতিকারক কেমিকেল অপরিক্ষ তরমুজের মধ্যে ঢুকিয়ে পাকা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। যা স্বাস্থের জন্য মারাত্নক ক্ষতি কারক।

যশোর সিটি কলেজ পাড়ার নিরন্জন লস্কর জানান, তিনি দুই দিন আগে শহরের মণিহার এরাকার ফলপটি থেকে একটি তরমুজ কিনে খাওয়ার পর তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা পেটের পীড়ায় ভুগছেন। একই অভিযোগ করেছেন চৌগাছার হোমিপ্যাথিক ডাক্তার ফয়সাল হোসেন। তিনি বলেন যে কয়দিন বাজার থেকে তমুজ নিয়ে খেয়েছি সেই কয়দিন পেটের সমস্যায় পড়েছি। এখন ইফতারিতে আর তরমুজ খাইনা। এমন অভিযোগ করেছেন আরো অনেকে। ্েকউ কেউ পচা তরমুজ ফেরতও দিচ্ছেন। এনিয়ে অনেক সময় বচসাও হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে।

রমজানের শুরুতে বাজারে পচাবাসি,ভেজাল এবং কেমিকেল মিশ্রিত পণ্য প্রতিরোধে ভ্রাম্মমান আদালত বা ভোক্তা অধিকারের অভিযান চলমান থাকার কথা থাকলেও রসাল ফলের বাজারে কোন অভিযান পরিচালিত হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ক্রেতা। এব্যাপারে জেলা ভোক্তা অধিকার ভিভাগের সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমানের সাথে যোযোগ করা হলে তিনি বলেন. তিনি অতিরিক্ক দায়িত্বে রয়েছেন। মূল অফিসার ম্যাটানিক্যাল ছুটিতে থাকায় সব অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না।