ঝিনাইদহে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

ঝিনাইদহে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সকাল ৮ টার পর থাকে রোদের তীব্রতা বাড়েতে থাকে যা দুপুর ১ টার পর থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পৌঁছায়।গত কয়েকদিন ধরে মাঝারি তাপদাহে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর। প্রচন্ড রোদে লাইনে দাড়িয়ে টিসিবির পণ্য কিনতে দেখা যাচ্ছে নিম্নয়ের মানুষগুলোর।

প্রকৃতির এমন আচরণে মানুষের প্রাণ বাঁচা বড় দায় হয়ে গেছে।গরম থেকে বাঁচতে অনেককেই ডাবের দোকানে দাঁড়িয়ে ডাবের পানি খেতে দেখা গেছে।আর শিশুরা গরম থেকে রেহাই পেতে পুকুরের পানিতে দুরন্তপানায় সঙ্গী হয়েছে। পৌর এলাকার বের গোপীনাথপুর গ্রামের কৃষক নিপুন হোসেন জানান,আমি আর আমার বাড়িয়ালা দুজনে মিলে ধান কাটছি কিন্তু প্রচন্ড গরমের কারনে গাছ তলায় এসে একটু প্রশান্তি নিতে হচ্ছে।ইমরান জানান,আমি প্রতি দিন সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকা থেকে পেটের তাগিদে শহরে এসে ইজি বাইক চালায়।

কিন্তু গত কয়েক দিনের প্রচন্ড তাপদাহের কারণে ইজি বাইক চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তারপরও খুদা আর এনজিওর টাকা পরিশোধ করতে আমি আর আমার বাবা দুজনে মিলে খুদার তাড়নায় আর দুবেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে বাঁচার আশায় ইজি বাইক চালাতে হচ্ছে।এছাড়া ঈদুল ফিতর ৩/৪ দিন পর এজন্য শহরের বীপনি বিতান গুলোতে প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে উপচে পড়াভীর লক্ষ্য করা যাচ্ছে।যা গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ঈদের কেনা বেচা।

অপরদিকে প্রচন্ড তাপদহে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না।আবার কিছু মানুষ অনেকটাই কাজের চাপে বাড়ি থেকে বের হয়ে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে।

কয়েকদিনের অব্যাহত তাপমাত্রায় বেশি কষ্ট পাচ্ছেন এ জেলার রোজাদারেরা।
তাছাড়া তাপমাত্রার সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং।এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেটিং এর কারণে রাতে তারাবি নামাজ পড়তে ও সেহরি খেতে পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে।