বহুল আলোচিত আনোয়ারুল কবীরের নামে আরো একটি মামলা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বহুল আলোচিত সমালোচিত আনোয়ারুল কবীরের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) মামলাটি করেছেন শহরতলীর আরবপুরের আমজাদ আলী মোল্লার মেয়ে ও আব্বাস উদ্দিনের স্ত্রী সিমু চৌধুরি (৫২)। এ নিয়ে আনোয়ারুল কবীরের বিরুদ্ধে ৪ টি মামলা হলো।

এর আগে ২২ সালের ২৫ মে শহরের চাঁচড়ার আঃ রাজ্জাকের মেয়ে শেখ সাদিয়া ওরফে মৌরিনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ২৪ মে বুধবার বিকেলে ঢাকা মিরপুর ১৩ নম্বর থেকে আনোয়ারুল কবীরকে আটক করে আনা হয়। এরপর ২৫ মে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও নরেন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ পৃথক দুটি মামলা করেন। তবে ওই তিনটি মামলায় আনোয়ারুল কবীরকে আটক দেখানো হয়নি। আনোয়ারুল কবীর ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের মৃত এরশাদ আলী মন্ডলের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মিরপুর শেওড়াপাড়া মধ্য পীরেরবাগ ৯৪/৩ বসবাস করেন।

সিমু চৌধুরি তার মামলায় বলেছেন, আমি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য। বিবাদি আনোয়ারুল কবীরের ফেসবুক আইড থেকে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লাইজু জামানের নামে ১ মে যশোরের পাপিয়া মুরগি খায় বাগডাশে, দোষ হয় বিড়ালের” ভিত্তিহীন ও মানহানিকর তথ্য সংবলিত মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লাইজু জামানের বিরুদ্ধে পোষ্ট আপলোড করে। যাতে ২২৩ জন লাইক দেয়। এরআগে ২৮ ফেব্রুয়ারি মহিলা আওয়ামীলীগের এক নেত্রীর ফোনালাপ ফাঁস। এই ধরনের ভিত্তিহীন ও মানহানিকর তথ্য সংবলিত পোষ্ট লাইজু জামানের বিরুদ্ধে আপলোড করে। এই পোষ্টে ৬০ জন ব্যক্তি লাইক দেয়। যাতে জান্নাতুল ফেরদৌস আইডি থেকে ছি ছি মন্তব্যসহ আরো ৭ টি ফেসবুক আইডি থেকে মানহানিকর কমেন্টস লেখে। একই তারিখে আরো একটি মানহানিকর পোস্ট আপলোড করে। এই পোষ্টে ৩৬ জন ব্যক্তি লাইক দেয়।

যাতে ১৭ টি ফেসবুক আইডি থেকে কমেন্টস করে। গত ৩ মার্চ বিকাল আনুমানিক ৫টা ১০ মিনিটের সময় ৭৪/ সি মুজিব সড়কস্থ মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লাইজু জামান বাসায় অবস্থানকালে বিবাদি আনোয়ারুল কবীর তার ব্যবহৃত হটস অ্যাপ নাম্বারে কল দেয়। তখন অনেক লোকজন উপস্থিত ছিলো। আনোয়ারুল কবীরের ফোন পেয়ে মহিলা নেত্রী তার ফোনটি লাউড স্পীকারে দেন। বিবাদি বলে তার লেখনি থামাতে হলে তাকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তা নাহলে লেখা বন্ধ করবো না। বিবাদি আরো বলে লাইজু জামানের বিরুদ্ধে লিখতেই থাকবে। উপস্থিত সকলেই আনোযারুল কবীরের চাঁদা চাওয়ার বক্তব্য শুনেছেন। লাইজু জামানের বিরুদ্ধে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে তিন কোটি টাকার সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। এ কারণে তিনি মামলা করেন।