যশোরে মারপিট ও শ্লীলতাহানীর ঘটনায় মামলা

জমি জায়গা নিয়ে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে প্রতিবেশী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এক বাড়িতে হামলা চালিয়ে খুণ করার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে আঘাত ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার ৩ জুন দুপুরে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন, সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের গোবিলা পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত ইকবালের ছেলে রাসেল হোসেন।মামলায় আসামী করেন, গোবিলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন, একই গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে ডাবলু, মৃত মতিয়ার বিশ^াসের ছেলে শহিদুল ইসলাম, ডাবলুর ছেলে লিখন হোসেন, আমির হোসেনের ছেলে ডালিম, ডালিম হোসেনের ছেলে সজিব, ডাবলুর স্ত্রী মোছাৎ সাবিনা বেগম, মতিয়ার বিশ^াসের ছেলে আজিজুল ও ইয়াকুব বিশ^াসের ছেলে ওরিজুলসহা অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।

 

মামলায় রাসেল হোসেন উল্লেখ করেন,আসামীদের সাথে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ব হতে বাদির পরিবারের শত্রæতা চলে আসছে। সে কারনে আসামীরা বাদির পরিবারকে মারপিট খুন জখম করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। গত ২ জুন বিকেল ৫ টায় আসামীরা বাদির বাড়িতে পূর্ব শত্রæতার কারণে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে বাদিকে অর্তকিতভাবে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। বাদি ঠেকাতে গেলে আসামীরা বাদিকে আক্রমন করে শহিদুল ইসলামের হুকুমে ডাবলু ধারালো দা দিয়ে বাদির মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্য আসামীরা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে বাদির শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ীবাবে মারপিট করে রক্তজমা ও ফোলা জখম করে। বাদির চাচাতো বোন মাসুমা বেগম (৩২) ঠেকাতে এলে লিখন ধারালো দা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্য আসামীরা এলোপাতাড়ী মারপিট করে পরনের কাপড় চোপড় টানা টানি করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। ডাবলু বাদির গলায় থাকা ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। আহতদের ডাক চিৎকারে বাদিসহ নাজমা বেগম কনা এগিয়ে আসলে তাকে মারপিট করে পরনের কাপড় চোপড় টানাটানি করে শ্লীলতাহানী করে। এ সময় আসামীরা বাদির পরিবারকে প্রকাশ্যে জীবননাশের হুমকী দিয়ে দ্রæত চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বাদি ও নাজমা বেগম কনাকে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার দেওয়া হয়েছে।