খুলনায় বড় ব্যবধানে জয়ী নৌকার তালুকদার খালেক

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নগরপিতার আসনে তৃতীয়বারের মতো বসছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মো. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট। ৯৪ হাজার ৭৬১ ভোটে আব্দুল আউয়ালকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তালুকদার খালেক।

সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় খুলনা শিল্পকলা একাডেমিতে কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ২৮৯টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ৪৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।

অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মো. শফিকুল ইসলাম মধু পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৪ ভোট, জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীকে এস এম সাব্বির হোসেন পেয়েছেন ছয় হাজার ৯৬ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এস এম শফিকুর রহমান পেয়েছেন ১৭ হাজার ২১৮ ভোট।

এদিন সকাল ৮টা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রাহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত থাকায় ৪টার পরও ভোট নেওয়া হয়।

খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ২৯টি ওয়ার্ডে ১৩৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।

এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনের ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে আগামী ২১ জুন সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনের ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

নগরীর চাঁদমারীতে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। বরিশালের ভোট চলাকালে প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার দেশের জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণাও দেয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।