বৌভাতে কাঁচামরিচ উপহার!

প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি পরিবারের বৌভাত অনুষ্ঠানে বন্ধুবান্ধবরা অনেক সময় কম গুরুত্বপূর্ণ কিংবা ফেলনা জিনিসপত্র উপহার হিসেবে দিয়ে মজা লোটার নজির রয়েছে। তবে এবার তুচ্ছ ও ফেলনা হলেও অগ্নিমূল্যের জন্য সময়ের আলোচিত এক কেজি কাঁচামরিচ উপহার দিয়ে আলোচনায় এসেছেন এক আমন্ত্রিত অতিথি।

রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দি গ্রামে এমন ঘটনা আমন্ত্রিত সব অতিথি এমনকি বৌভাত অনুষ্ঠান আয়োজকদের অবাক করেছে। এ নিয়ে বৌভাত অনুষ্ঠানে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের মধ্যে নানা ধরনের মুখরোচক আলোচনা-সমালোচনা ছিল উপভোগ করার মতো।

এ সময়টিতে কাঁচামরিচের বাজার নিয়ে কমবেশি সবাই ভুক্তভোগী। কেননা সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে কয়েক দিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি বাজার মূল্য ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। মরিচের দামের এমন ঝাঁজ নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল হচ্ছিল- তখন বৌভাত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত একজন রসিক দাওয়াতির এমন কাণ্ডকে কোনোমতেই অস্বাভাবিক মনে করছেন না ভুক্তভোগী লোকজন।

রোববার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দীর পশ্চিম কুমারপুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে অ্যাডভোকেট মাহমুদুর রহমান আফ্রিদের বৌভাত অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে এক কেজি কাঁচামরিচ উপহার দিলেন তার এক বন্ধু।

তবে অপ্রকাশিত হলেও এ উপহার নিয়ে আসা বরের বন্ধু এসএম রায়হান বলেন, দেশে যে হারে কাঁচামরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তাই উপহার হিসেবে কাঁচামরিচ দেওয়াটা আমার কাছে প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। এটি কাঁচামরিচের মূল্যবৃদ্ধির একটি মৌন প্রতিবাদও বটে।

এ সময় বরের চাচা খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের আজকের অনুষ্ঠানে অনেকেই অনেক রকম উপহার নিয়ে এসেছেন। তবে আফ্রিদের বন্ধুর কাঁচামরিচ উপহার দেওয়ার বিষয়টি শুধু চমকপ্রদ নয়, শিহরণ জাগানোও বটে। চোখে আঙুল দিয়ে সবাইকে বাজারের আগুন দেখিয়ে দেওয়ার মতো এমন উপহার সাদরে গ্রহণ করা হয়েছে।

শনিবার পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় অ্যাডভোকেট মাহমুদুর রহমান আফ্রিদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।