ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মধ্যরাতে বন্ধুকে মোবাইলে কল করে ডেকে এনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে মেহেদী হাসান (২৪) নামের এক যুবককে। শনিবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাতে পৌর এলাকার ফয়লা মাস্টার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে নিহত মেহেদী হাসান ওই এলাকার সফর আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশ রাতেই ঘাতক আকরাম হোসেনকে আটক করেছে । এছাড়া আটককৃত আকরামের ভাই সাদ্দাম হোসেন পলাতক রয়েছে। আটক আকরাম হোসেন একই এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।
নিহত মেহেদীর মা সাবিয়া বেগম জানান, তার ছেলের ভিসা-পাসপোর্টসহ বিমানের টিকিট হয়ে গেছে । আর তিন দিন পরে ছেলে মালয়েশিয়া চলে যাবে। তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাদ্দাম ও আকরাম তার ছেলেকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন।
নিহত মেহেদীর স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান, রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার স্বামী খাচ্ছিল। খাওয়া শেষের দিকে একটি ফোন থেকে কল আসে। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি জানতে পারেন প্রতিবেশী আকরামের বাড়িতে পড়ে আছে তার স্বামীর রক্ত্যক্ত দেহ। এরপর এলাকাবাসী সেখান থেকে মেহেদীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার একটি ৫ মাস বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। এছাড়া নিহত মেহেদীর আগামী ৩ দিন পর মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।