কথিত জ্বিনের বাদশাসহ তিনজনের দুইদিন করে রিমান্ড

প্রতারনার আলাদা মামলায় কথিত জ্বিনের বাদশাসহ তিনজনের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ আলাদা শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার ফুলগাছিয়া গ্রামের অংকুর শিকদারের ছেলে কথিত জ্বিনের বাদশা ফকরুল ইসলাম ও রংপুর মিঠাপুকুরের জুতবানা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আলিফ মিয় এবং যশোরের মণিরামপুরের তাহেরপুর গ্রামের মৃত রঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে উত্তম কুমার বিশ্বাস।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর সদরের লেবুতলা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন কাঠ বিক্রি করে পাওনা ৪ লাখ টাকা আদায় করতে পারছিলেন না। এরমধ্যে তিনি টিভির বিজ্ঞাপনে পাওয়া মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করে পাওনা টাকা আদায়ে সহযোগীতা চান। এরপর অপর প্রান্ত থেকে নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয়ে পাওনা আদায় করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। এ গ্রহণ করে আবুল হোসেনকে ১৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়।

একপর্যায়ে জিনের বাদশার ফোন নম্বরগুলোতে যোগাযোগের চেষ্ট করলে বন্দ পাওয়া যায়। এসময় বুঝতে পারেন তিনি প্রতারনার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গত ১৪ জুন অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন আবুল হোসেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গত তিনজনকে আটক করে যশোরের সিআইডি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী বাবুল হোসেন আটক তিনজনের ৫দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। গতকাল রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর ও অপর একজনের রিমান্ড না মঞ্জুরের আদেশ দিয়েছেন।

গত ৪ জুলাই আসামি উত্তম ও তার মাধবী রাণী পেনশনের টাকা উত্তোলন করতে আসে যশোর অগ্রনী ব্যাংক দড়াটানা শাখায়। এদিন মাধবী রাণীকে চেকের মুড়ি বইতে সাক্ষর করতে দিলে কৌশলে চেকের একটি পাতা চুরি করে নিয়ে যায়। এ চেকের পাতায় জালা সাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে গত ৯ জুলাই অগ্রনী ব্যাংক রেল বাজার শাখা থেকে ৮ লাখ টাকা তুলে নেয়।

পরে বিষয়টি ধরা পড়লে গত ২ আগস্ট বিআরডিবির হিসাব রক্ষক জাহাঙ্গীর কবীর বাদী হয়ে উত্তম ও তার মাকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তম ও তার মাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। একই সাথে গত ২ আগস্ট আটক উত্তম কুমারের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রেজোয়ান। গতকাল রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক উত্তম কুমারের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।