মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কালাপাহাড়ে ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলার সদস্যদের’ নতুন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সোমবার স্থানীয়দের হাতে আটক ১৭ জঙ্গিদের মধ্য থেকে জামিলকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। আস্তানা থেকে ১৪ রাউন্ড গুলি ও বড় বড় কয়েকটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আটক করা জঙ্গিদের ব্যাগ তল্লাশি করে নগদ দুই লাখ টাকা, ৯৫টি ডেটনেটর উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় মৌলভীবাজার পুলিশ লাইন্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের আজগরাবাদ সিএনজি স্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিক ও জনতার বুদ্ধিমত্তায় গত সোমবার ১৭ জন জঙ্গি আটক করা হয়। তাদের ছবি মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারকে পাঠানো হয়। ছবিতে ওয়ান্টেড অনেক জঙ্গির ছবি দেখতে পেয়ে দ্রুত কুলাউড়ার উদ্দেশ্যে এসে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। তদন্তের স্বার্থে সবকিছু এখনই বলা যাচ্ছে না।
সিটিটিসির প্রধান বলেন, আটকদের মধ্যে জামিল নামে এক জঙ্গি ও দুই সোর্সসহ ভোর সাড়ে ৫টায় কুলাউড়া থেকে রওনা দেন। এরপর সকাল ৭টা থেকে পূর্ব টাট্টিউলি গ্রাম ও এর আশপাশে অভিযান চালিয়ে কালাপাহাড়ে জঙ্গিদের দ্বিতীয় আস্তানার সন্ধান মেলে। সেখানে তিনটি ঘরে তারা বসবাস করতেন। একটি ঘরের পাশে মাটি খুড়ে ১৪টি পিস্তলের গুলি ও অপর একটি ঘরের পাশ থেকে বড় বড় কয়েকটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আটককৃত জঙ্গিদের ব্যাগ তল্লাশি করে বিস্ফোরক, নগদ টাকা ও ডেটনেটর পাওয়া গেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আটক জঙ্গিদের মধ্যে ইমাম মাহমুদের কাফেলার নেতৃস্থানীয় অনেকে রয়েছেন। তাদের নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে চিহ্নিত করে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
আটক ১৭ জঙ্গি হলেন- নাটোরের জুয়েল মাহমুদ (২৮), সিরাজগঞ্জের সোহেল তানভীর রানা (৩০), কক্সবাজারের সাদমান আরেফিন (২১), মো. ইমতেজার হাসসাত নাবীর (১৯), যশোরের ফাহিম খান (১৭), পাবনার মামুন ইসলাম (১৯),গাইবান্ধার রাহাত মন্ডল (২৪), জামালপুরের সোলাইমান মিয়া (২১), নারায়ণগঞ্জের আরিফুল ইসলাম (৩৪), বগুড়ার আশিকুল ইসলাম (১৯), পাবনার মামুন ইসলাম (২৬), ঝিনাইদহ’র তানভীর রানা (২৪), সাতক্ষীরার জুয়েল শেখ (২৫), পাবনার রফিকুল ইসলাম (৩৮), আবির হোসেন (২০), মাদারিপুরের মেহেদী হাসান মুন্না ও টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর কোয়েল (২৫)।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শনকুমার রায়, ফজলুর রহমান মহসীনসহ সিটিটিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।