যশোর-২ ঝিকরগাছা ও চৌগাছায় এমপি প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন যারা

সংসদীয় আসন ৮৬ যশোর-২ ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলার দু’টি পৌরসভা এবং ২২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনটি। যশোর নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে এবার ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৫৫,৯০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২,২৮,৯২৯ ও নারী ভোটার ২,২৬,৯৭৩জন। এ আসনে বরাবর পরপর আওয়ামীলীগের প্রার্থী এমপি হয়েছেন। এবার এই আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে ১২ জন ও বিএনপি এবং জামায়াতের ৫ জনের নাম শোনা গেছে। যশোর-২ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা গেছেন।

তারা হচ্ছে, বর্তমান এমপি যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ডাক্তার নাসির উদ্দীন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, যশোর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির,বর্তমান ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম,ঝিরকগাছা পৌরসভার চেয়ারম্যান মোস্তফা আনোয়ার পাশা, নতুন মুখ আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তফা আশীষ ইসলাম, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নতুন মুখ আনোয়ার হোসেন,চৌগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নতুন মুখ এস এম হাবিবুর রহমান, নতুন মুখ আওয়ামীলীগ নেতা ডাক্তার তৌহিদুজ্জামান তুহিন, নতুন মুখ এ্যাডভোকেট আহসানুল হক আহসান,যশোর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাডাভোকেট আলী রায়হান ও অবসর প্রাপ্ত লে. কর্ণেল হাবিবুর রহমান খান। অন্য দিকে বর্তমান প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপি’র সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজমুলের সহধর্মিনী ও ঝিকরগাছা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নতুন মুখ সাবিরা নাজমুল মুন্নি ও জেলা বিএনপি’র নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নতুন মুখ মিজানুর রহমান খান, চৌগাছা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক জহুরুল ইসলাম ও ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোর্ত্তুজা এলাহী টিপু। এই আসনে জামায়াত ইসলামী দলের প্রার্থী হিসেবে মাওলানা আরশাদুল আলমের নাম শোনা গেছে। চারদলীয় ঐক্য জোটের প্রার্থী হিসেবে যশোরে ঝিকরগাছা ও চৌগাছা নিয়ে যশোর-২ আসনে ইতিপূর্বে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের দখলে ছিল। সেই সময় জামায়াতের মুহাদ্দিস আবু সাইয়ীদ সংসদ সদস্য ছিলেন।

তিনি মারা যাওয়ার পর জামায়াতের নতুন মুখ মাওলানা আরশাদুল আলমের নাম উঠে এসেছে। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের মধ্যে যিনি খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সকলের খোঁজ খবর নিবেন তাকে বেছে নিবেন এ দুই উপজেলার বাসিন্দা এমন কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ। যিনি এলাকায় আছেন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন

এমন কাউকেই বেছে নেওয়ার কথা জানালেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। প্রার্থী হওয়ার আশায় দিনরাত গন সংযোগে ব্যস্ত দিন পার করছেন অনেকে। তারপরও আওয়ামীলীগের প্রার্থী হওয়ার আশায় বিভিন্ন কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামীলীগের ১২ জন প্রার্থী সকলেই। খেটে খাওয়া মানুষ এই আসনে যিনি নির্বাচিত হবেন তার কাছে আশা করেন এ দু’ উপজেলার উন্নয়ন। আওয়ামীলীগের প্রার্থী হওয়ার আশায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ঢাকায় লবিং গ্রুপিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিএনপি’র প্রার্থী চারজনের কেউ বসে নেই। জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা আরশাদুল আলম জোটের প্রার্থী হওয়ার আশাবাদী। এবার জোটবদ্ধ নির্বাচন না হলে বিএনপি’র চারজনের কেউ ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছেনা। এ আসনে দুই উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র যারা প্রার্থী হতে চান তারা প্রায়ই উপজেলা দু’টির বিভিন্ন বাজার,গ্রাম গঞ্জে গণ সংযোগ শুরু করেছেন। দলের কেন্দ্রীয় আর্শীবাদ পাওয়ার আশায় প্রার্থীরা মাঠ ছাড়ছেন না।