ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটির স্মারক লিপি পেশ

যশোর সদর উপজেলার অধীনে এলজিইডি কর্তৃক ৩টি সেতু পুনঃ নির্মাণে সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটির আয়োজনে সোমবার ২১ আগষ্ট সকালে যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি পেশ করা হয়। স্মারক লিপিতে বলা হয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান নদী প্রবাহ ভৈরব। ভৈরব নদ সংস্কারে সরকার ২৭২ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সে সংস্কার কাজ সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। লক্ষ্য ছিল নদকে প্রবাহমান করা ও নৌ-চলাচলের উপযোগী করা এবং উজানে মাথাভাঙ্গা ভৈরব সংযোগ প্রদান করে স্থায়ী নদী প্রবাহ নিশ্চিত করা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড উজানে সংযোগের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে যা প্রক্রিয়াধীন। নদের উপর ৫১টি সংকীর্ণ ব্রিজ-কালভার্ট রয়েছে। নদের নাব্যতা ও নৌ-চলাচল উপযোগী করতে সেগুলো বিআইডব্লিউটিএ এর প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী পুনঃনির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। সরকারের এই নীতিগত সিদ্ধান্ত বানচাল ও সরকারি অর্থ অপচয় করার ষড়যন্ত্র করছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।যশোর সদর উপজেলার দায়তলা, ছাতিয়ানতলা ও রাজারহাটে ৩টি সেতু পুনঃনির্মাণে বিআইডব্লিউটিএ এর নীতিমালা লঙ্ঘন করে নির্মাণ কাজ চলছে। আমাদের আপত্তি, দৈনিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় এ অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষ তা কর্ণপাত করছে না।

নদী রক্ষা কমিশনের সভাপতি এবং নৌপথে ব্রীজ নির্মাণ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের ভূমিকা পালনের দায়িত্ব রয়েছে।আমরা ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন ও অববাহিকার জনগণের পক্ষ থেকে ৩টি সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ করে নীতিমালা অনুযায়ী নির্মাণে হস্তক্ষেপ করার জন্য আপনার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। স্মারক লিপি পেশ কালে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আফসার আলী, উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ,সদস্য নাজিম উদ্দিন,হারুন অর রশিদ,জিল্লুর রহমান ভিটু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবর , হাসান আলী ও সুকদেব বিশ^াস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।