যশোর শহরের পৌর এলাকাসহ যখন সারা শহরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে ঠিক তখনই শহরতলীর উপশহর ইউনিয়নে
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রনাধীন রাস্তার দুপাশের ফুটপথ
অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রনে। উপশহর জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ অফিস
থেকে ৫০ গজ দুরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বাবলাতলা
থেকে ডাকবাংলা মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের ফুটপথের জায়গা অবৈধ
দখলদারদের দখলে চলে গেছে। ইতিমধ্যে রাস্তার দুপাশের ফুটপথ দখল করে গড়ে
তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। রাস্তার দুপাশের ফুটপথ দখল করে অবৈধ
স্থাপনা গড়ে তোলার ফলে পথচারিদের চলাচলে বাধা সৃষ্টির পাশাপাশি
রাস্তার দুপাশের ড্রেন নির্মান সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পানি বের হয়ে
যেতে না পারায় নির্মানের কয়েকমাসের মধ্যে রাস্তার নষ্ট হয়ে চলাচলের
অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার দুপাশের ফুটপথ দখল করে অবৈধ স্থাপনা
নির্মানের ফলে বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
রাস্তায় পানি বেধে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ জাতীয় গৃহায়ন
কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় রাস্তার দুপাশের ফুটপথ দখল করে অবৈধ স্থাপনা
গড়ে তোলা হলেও কর্তৃপক্ষ কোন কর্নপাত করে না। এ ব্যাপারে
এলাকাবাসি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ যশোর অফিসের উপবিভাগীয়
প্রকৌশলী রিদুয়ার হোসেনের কাছে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেন
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য। কিন্তু প্রকৌশলী রিদুয়ার হোসেন অবৈধ
দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। স্থানীয় একাধিক সূত্র বলেছে,
বাবলাতলা থেকে ডাকবাংলার মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের ফুটপথ দখল করে
অবৈধ বাজার গড়ে তোলা হয়েছে। এই বাজারের দোকান করার জন্য রাস্তার
ফুটপথ ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে। আর
রাস্তার ফুটপথ দখল করে বিক্রির সাথে জড়িত রয়েছে জাতীয় গৃহায়ন
কর্তৃপক্ষে কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারি। বর্তমানে এই রাস্তার
ফুটপথের যে জায়গা টুকু ফাঁকা রয়েছে সেগুলোও বিক্রি অব্যাহত
রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপবিভাগীয়
প্রকৌশলী রিদুয়ার হোসেন যশোরে যোগদান করেছেন প্রায় আড়াই
বছর। তার যোগদানের পর থেকে উপশহর এলাকায় অবৈধ দখলের পরিমান
বেড়ে গেছে। রিদুয়ার হোসেনের কাছে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের
বিষয়ে অভিযোগ করলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি
দখলদারদের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ নানা অজুহাত খাড়া করেন।
অভিযোগ রয়েছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী
রিদুয়ার হোসেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের একটি গ্রুপের সাথে
সখ্যতা গড়ে তুলেছেন। এদের মাধ্যমে অবৈধ দখলদারদের কাছে রাস্তার
ফুটপথ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ওই
গ্রুপের কতিপয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বাড়ির অবৈধ কাগজপত্র তৈরি,
নামজারি, সেলপারমিশন, প্লানপাশ, বাড়ি ভাঙ্গার অনুমতির পারমিশন করে
দিয়ে অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এই ভাবে তিনি এই
আড়াই বছরে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ওই গ্রুপের
মাধ্যমে কাজ নিয়ে না গেলে কোন কাজ করা হয় না। নানা ভাবে নানা
অজুহাতে হয়রানি করা হয় কাজে আসা ওই ব্যক্তিকে। এবিষয়ে বক্তব্য
নেয়ার জন্য রিদুয়ার হোসেনকে কয়েকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি
ফোন রিসিভ করেননি।,