শত প্রচেষ্টার পরেও অবৈধভাবে লোক বিদেশে যাচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আমরা অনিরাপদ ও অনৈতিক অভিবাসন প্রতিরোধ করতে চাই। কিন্তু শত প্রচেষ্টার পরেও অবৈধভাবে লোক বিদেশে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-জিএফএমডি ১৪তম সামিট উপলক্ষে জাতীয় প্রস্তুতিমূলক সভার যৌথভাবে আয়োজন করে পররাষ্ট্র, প্রবাস কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম।

শাহরিয়ার আলম বলেন, অভিবাসন একটি জটিল ইস্যু। তবে বৈশ্বিক জিডিপির ১০ শতাংশই আসে অভিবাসন খাত থেকে। আমরা নিরাপদ ও টেকসই অভিবাসন নিশ্চিত করতে চাই। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। তবে শত প্রচেষ্টার পরেও অবৈধভাবে লোক বিদেশে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে জিএফএমডি কাজ করছে। জিএফএমডির ১৪তম সামিটে আমাদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটাতে চাই।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশের অভিবাসীরা কঠোর পরিশ্রমী। তবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা আন্তর্জাতিকমানের দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে চাই। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে অভিবাসন খাতে সকল ধরনের অনৈতিক চর্চা বন্ধে সরকার বদ্ধ পরিকর।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনীরুস সালেহীন বলেন, জলবায়ু ঝুঁকির ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বে অভিবাসী বাড়ছে। দেশের মধ্যে জলবায়ু ঝুঁকি প্রবণ এলাকায় কর্মীদের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই ও
বাংলাদেশে আইওএম মিশন প্রধান আবদুসাত্তোর ইসব।