পাবনায় ছাত্রলীগের দুগ্রুপের হাতাহাতি চেয়ার ভাংচুর

পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে নাম না থাককে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের হাতাহাতি ও চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একে অপরকের দোষারপ করছেন দুই পরে নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে বর্ধিত সভা চলছিল।

এ সময় ছাত্রলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে নাম না থাকার কারন জানতে চান সাবেক জেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য মুস্তাকিম মুহিবসহ কয়েক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এ নিয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পরে নেতাকর্মীদের মাঝে চেয়ার ছুড়াছুড়ি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাংচুর করা হয় পার্টি অফিসের চেয়ার টেবিল। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তেেপ পরিস্ত্রিতি শান্ত হয়।

পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘মুহিব ছাত্রলীগে সক্রিয় নয়। তাঁরা কোনো কারণ ছাড়াই হামলা করেছে। আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য মুস্তাকিম মুহিব বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। এই সভাপতি সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁরা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেনি। নির্বাচনী কমিটিগুলোতে কেন আমাদের রাখা হচ্ছে না জানতে গিয়েছিলাম। এ সময় তাঁরা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে বঞ্চিত কর্মীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।’

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সভায় একটি ঘটনা ঘটেছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ দেয়নি।’