কারচুপির অভিযোগে নড়াইলের ২টি আসনেই নির্বাচন বর্জন করলেন ওয়ার্কার্স পাটির প্রার্থীরা

অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে নড়াইলের দু’টি আসনেই নির্বাচন বর্জন করলেন ওয়ার্কার্স পাটির প্রার্থীরা। নড়াইল প্রেসক্লাবে এসে রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেন তারা। এরা হলেন-নড়াইল-১ আসনে হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম এবং  নড়াইল-২ আসনের প্রার্থী শেখ হাফিজুর রহমান (ওয়ার্কার্স পাটি)। এ নির্বাচন বাতিল করে আবার নির্বাচনের দাবি করেন তারা। এ সময় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

ওয়ার্কার্স পাটির প্রার্থীরা বলেন, রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দু’টি আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট সুষ্ঠু ভাবে গ্রহণ করা হলেও পরবর্তীতে তাদের এজেন্টদের নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা বের করে দিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মারা শুরু করে। এক্ষেত্রে প্রিজাইর্ডিং অফিসাররাও তেমন কোনো ভূমিকা পালন করেননি। এসব অভিযোগ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাফুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান এবং ভ্রাম্যমাণ টিমকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, তাদের অভিযোগ সত্য নয়। কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ওয়ার্কার্স পাটির সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বলতার কারণে অধিকাংশ কেন্দ্রে এজেন্টই দিতে পারেনি। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট সম্পন্ন হয়েছে।

নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কার্স পার্টিসহ ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এরা হলেন-আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিএম কবিরুল হক মুক্তি (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মিলটন মোল্যা (লাঙ্গল প্রতীক), ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম (হাতুড়ি প্রতীক), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী শ্যামল চৌধুরী (সোনালি আঁশ প্রতীক), জেপি (মঞ্জু) প্রার্থী শামীম আরা পারভীন (সাইকেল প্রতীক) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সিকদার শাহাদাত হোসেন দুলু (মাথাল প্রতীক)। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনা হক (ঈগল পাখি প্রতীক) গত ১৯ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী স্বামী কবিরুল হক মুক্তিকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান।

এখানে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ১০ জন। কেন্দ্র সংখ্যা ১১০ এবং বুথ সংখ্যা ৬৩০।

এদিকে, নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজাসহ প্রার্থী সংখ্যা সাতজন। এরা হলেন-জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ (লাঙ্গল প্রতীক), ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী শেখ হাফিজুর রহমান (হাতুড়ি প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপি প্রার্থী মনিরুল ইসলাম (আম প্রতীক), গণফ্রন্ট পার্টির প্রার্থী লতিফুর রহমান (মাছ প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মাহবুবুর রহমান (মিনার প্রতীক) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর ইসলাম (ঈগল পাখি প্রতীক)। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু (ট্রাক প্রতীক) গত ৩ জানুয়ারি মাশরাফি বিন মর্তুজাকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

এখানে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৯০ জন। এই আসনে কেন্দ্র সংখ্যা ১৪৭ এবং বুথ সংখ্যা ৮১১।