বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এমন খবরই দিয়েছে রাখাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ। সে হিসাবে রাখাইনে জান্তাদের মেয়াদ আর মাত্র ৪ দিন! ইতোমধ্যে তার প্রমাণও দিয়েছে রাখাইনের আরাকান আর্মি (এএ)। বৃহস্পতিবার স্থানীয় দৈনিক ইরাবতীর এক খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ের কাছে পুলিশের একটি থানা দখলে নিয়েছে আরাকান অর্মি।
থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের ঘোষণায় বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যরা শিগগিরই আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। জান্তা সেনাদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে আরাকান আর্মি। রাজ্যটিতে জান্তাদের সব ক্যাম্প দখল করতে আর মাত্র সাত দিন লাগবে। সেখানে এখন মাত্র ১০০ জনের মতো জান্তা সেনা অবস্থান করছে
বৃহস্পতিবার নতুন এক বিবৃতিতে বাহিনীটি জানিয়েছে, পোন্নাগিউন টাউনশিপ পুলিশ স্টেশনটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। পোন্নাগিউন রাজধানী সিত্তওয়ে থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইয়াঙ্গুন-সিত্তওয়ে সড়কে নিরাপত্তা জোরদার করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
ইরাবতী জানিয়েছে, আরাকান আর্মি সম্প্রতি পাকতাও শহর দখল করে। এই শহরটিও সিত্তওয়ের কাছে। বাহিনীটি রাখাইনের সামরিক কমান্ডকে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছে। নইলে তাদের পরাজিত করা হবে বলে ঘোষণা করেছে আরাকান আর্মি।
তাদের ভয়ে জান্তা সরকারের বহু কর্মকর্তা সিত্তওয়ে ছেড়ে পালিয়েছে। এছাড়া শহরটির বাসিন্দাদেরও অর্ধেকের বেশি অন্যত্র চলে গেছে। বিদ্রোহী বাহিনীটির দাবি, তারা পোন্নাগিউন, রাথেদাউং, বুথিদাউং এবং মংডু শহরের কমান্ড সেন্টারসহ জান্তা বাহিনীর ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মিনবিয়া টাউনশিপের কান নি গ্রামের কাছে জান্তা বাহিনীর একটি বড় ও শক্তিশালী ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে আরাকান আর্মি। এর আগে শনিবার থেকে জান্তার নবম সেন্ট্রাল মিলিটারি ট্রেনিং স্কুলে আক্রমণ অব্যাহত আছে। এর কাছে থাকা তিনটি ফাঁড়ি দখল করেছে তারা। বৃহস্পতিবার ওয়াই১২ বিমান থেকে উপকূলীয় শহর রামরিতে বোমা ফেলেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। বিমান হামলা এখনো অব্যাহত আছে। এছাড়া যুদ্ধজাহাজ থেকেও রামরিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে জান্তা বাহিনী। তবে আরাকান আর্মির পালটা হামলায় তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়।