শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসাবে অহিদুজ্জামানকে দেখতে চায় ভোটাররা

নানা আলোচনা সমালোচনা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার আসন্ন উপজেলা নির্বাচন হতে যাচ্ছে দলীয় প্রতীক ছাড়াই। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উন্মুক্ত করে দিয়ে এক ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল। এবার উপজেলা নির্বাচনেও নেওয়া হবে নতুন কৌশল। তুণমুল রাজনীতিতে বিভাজন ঠেকাতে এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে বিভিন্ন সুত্রে প্রকাশ।

আসন্ন এ নির্বাচনকে ঘিরে যশোর এর শার্শায় চলছে ভিতরে ভিতরে নির্বাচনের ইমেজ। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য আলোচনা চললেও অন্য কোন দলের নেই কোন আলাপ আলোচনা। সীমান্ত উপজেলা শার্শার এই নির্বাচনী এলাকা অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন একটি এলাকা। অবহেলিত এই জনপদে ইতিমধ্যে শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় শার্শার আওয়ামীলীগের একটি বড় অংশ। এছাড়া এই উপজেলায় আসন্ন নির্বাচনে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, সাবেক শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, নাভারন ডিগ্রি কলেজের অধ্যাক্ষ ইব্রাহীম খলিল, আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান ।

স্থানীয় সাধারন নাগরিকরা জানান শার্শা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান একজন নিবেদীত দলের কান্ডারী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সবকটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার জন্য অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন। এছাড়া দলের এই ত্যাগি নেতার জ্যৈষ্ঠ ভ্রাতা সাবেক শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মৃত আলহাজ্জ্ব নুরুজ্জামান ও দলের জন্য সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে জামাত বিএনপির বিরুদ্ধে এবং বার বার নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য বিজয়ী করার অগ্রনী ভুমিকা ছিল এই পরিবারটি। শার্শা তথা বেনাপোলের একটি বড় দলীয় অংশ চাচ্ছে এবার নির্বাচনে অহিদুজ্জামানকে বিজয়ী করে শার্শার আরো উন্নয়ন তরাম্বিত করতে। এছাড়া সীমান্ত থানা বেনাপোল ও শার্শার ভাগ্য বদলাতে তার বিকল্পও কোন নেতা তার সমকক্ষ নন বলে মত প্রকাশ করেন। সকল দিক বিবেচনা করে এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে আরো শক্তিশালী করতে তার বিকল্প কোন প্রার্থী নাই বলে সচেতন মহল মনে করেন।

আবার কেউ কেউ চাচ্ছে বেনাপোলের অংশে বাড়ি এমন প্রার্থী যাতে উপজেলা চেয়ারম্যান না হয়। এর মধ্যে একটি অংশ চাচ্ছে নাভারনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বচিত হোক। শার্শার নাভারন থেকে এবার নির্বাচনে নির্বাচন করবে বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু। তিনি এলাকায় একজন গ্রহন যোগ্য ও সৎ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব । তবে একটি অংশ মনে করেন তিনি কয়েকবার নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। এখন তার বয়স হয়েছে। অপরদিকে নাভারন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খলিল এর নাম শোনা যাচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে। সচেতন একটি মহল মনে করেন তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে কর্মরত আছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচনে যদি তিনি বিজয়ী হন তবে ওই প্রতিষ্ঠানের সেবা তিনি কি ভাবে দিবেন?

শার্শা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন এর নাম প্রচার করা হলেও তিনি আনুপাতিক হারে অন্যদের চেয়ে নির্বাচনী মাঠে পিছিয়ে আছেন। তিনি একসময়ের আওয়ামী বিরোধী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া ইউনিয়ন এর গন্ডি পেরিয়ে উপজেলা পর্যায়ে তার বিজয়ী হওয়া সম্ভাবনা কম বলে ধারনা করেন।

শার্শার বড় একটি অংশ সব মিলিয়ে আসন্ন নির্বাচনে অহিদুজ্জামানকে নির্বাচনের বিষয়ে বেশী আগ্রহ প্রকাশ করেন। কারন তিনি তৃনমুল পর্যায়ের নেতাদের সাথে যোগাযোগ, সুবিধা অসুবিধা সকলের খোজ খবর রাখেন।

গোগা ইউনিয়ন এর আয়ুব হোসেন বলেন, আমরা চাই যারা জনগনের পাশে থাকে দুর্দিনে দলের কান্ডারী হিসাবে হাল ধরে সেরকম নেতা। শুধু নির্বাচনের সময় বসন্তর কোকিলের মত কাউকে চাই না। তিনি বলেন আমি মনে করি জনগনের পাশে এবং এই জনপদে শার্শায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে টিকিয়ে রেখেছে অহিদুজ্জামান। তিনি সম্প্রতি দুইটি নির্বাচনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের তার দক্ষতা মেধা এবং কৌশল দিয়ে বিজয়ী করেছেন জনগনের ভালবাসা নিয়ে। একটি হচ্ছে বেনাপোল পৌর সভা নির্বাচন অপরটি হচ্ছে জাতিয় সংসদ নির্বাচন। আমরা তাকেই উপজেলা নির্বাচনের বিজয়ী করতে চাই। এরকম চায়ের দোকান মুদি দোকান সহ অসংখ্য জরিপে এবার দক্ষ সংগঠন এবং আওয়ামীলীগের নিবেদতীত প্রান অহিদুজ্জামানকে নির্বাচনে বিজয়ী করার জন্য কাজ করবেন বলে মত প্রকাশ করেন।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার যেখানে ইঙ্গিত পড়বে সেই নির্বাচনে বিজয়ী হবে। যত আলোচনা সমালোচনা যাই হোক সময়ে বলে দিবে কে চেয়ারম্যান হবে আর কে হবে না।