যশোরে ইঞ্জিনিয়ার বায়েজিদ হত্যা মামলার আরো দুই আসামি র‌্যাবের হাতে আটক

র‌্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পে সদস্যরা ইঞ্জিনিয়ার বায়েজিদ হত্যা মামলার আরো দুই আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। বায়েজিদ খুলনা হাজি ইসমাইল লিংক রোড আল আমিন মহল্লার মৃত সিকদার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি মুল্লুক চানের ঢাকা বসুন্ধরা আবাসিকে বিল্ডিংয়ের নির্মান কাজ দেখা শোনা করতেন। ২৫ মার্চ রাতে তাকে খুলনার বাড়ি থেকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বড়বাজার এলাকায় রফিকুলের চাউলের গোডাউন থেকে এস এম বায়েজীদ হাসান (৩৪) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী নবিনগরের মোঃ রাজু আহম্মেদ রাজু (৩৫),যশোর সদর উপজেলার লেবুতলার মোঃ আব্দুর রহমান রাজন (৩৪)।

 

র‌্যাব-৬, যশোর জানায়, ২৭ মার্চ গভীর রাতে র‌্যাব-৬, যশোর ও র‌্যাব-১, উত্তরার একটি যৌথ দল ডিএমপি ঢাকার ভাটারা থানার ঢালীবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায়, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী (মুল্লুক চাঁন) ও সঞ্জয় চৌধুরীর নির্দেশে ঢাকা বসুন্ধরা আবাসিকের এম ব্লকে বিল্ডিং নির্মাণ প্রকল্পের সাব কন্ট্রাক্টর শহিদুল ইসলামসহ (৪৫) মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিরা ২৪ মার্চ ভিকটিম বায়েজিদ হাসানের নিকট টাকা পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ভিকটিমকে তার নিজ বাড়ি খুলনা থেকে তুলে নিয়ে আসে।

যশোর বড়বাজারে অবস্থিত রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর (মুল্লুক চাঁন) চাউলের গোডাউনে আটকে রাখে। বায়েজিদকে গোডাউনে আটক রেখে প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁন (৫৬) সঞ্জয় চৌধুরী (৫২) শহিদুল ইসলাম (৪৫) ও গ্রেফতারকৃত আসামিসহ অন্যান্য আসামিরা মিলে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে। এর আগে ২৬ মার্চ পুলিশ বায়েজিদ হত্যা মামলার আর এক আসামি মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করে। সে আদালতে বায়েজিদ হত্যা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ন তথ্য দেয়। মামলা তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তথ্যগুলি পরে প্রকাশ করবে।