প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় বুয়েটের উদ্ভাবিত ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। শুক্রবার ৩য় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় এ চিত্র ফুটে উঠেছে। এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
সচিব জানান, ১ম ধাপের পরীক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা নজরে আসায় মন্ত্রণালয় এ ধরণের অপপ্রয়াস রোধককল্পে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, ফলে ২য় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরণের অভিযোগ খুব স্বল্প পরিমাণে এসেছে।
তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরণের অভিযোগ যাতে না ওঠে সে জন্য কার্যকর পন্থা খুঁজে বের করতে বুয়েটের আইআইসিটি বিভাগের অধ্যাপক এস এম লুত্ফুল কবিরকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
বুয়েট ইনোভেশন টিম স্বল্পসময়ে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন সনাক্তকরণে সহজ ও কার্যকর সিস্টেম উদ্ভাবন করে। এতে মন্ত্রণালয় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে।
শুক্রবারের লিখিত পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জেলায় এ সিস্টেমের সহজ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সচিব বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সব ধরণের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এ ধরণের সিস্টেম চালু করা গেলে ডিভাইসমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হবে। তখন কেউ পরীক্ষা নিয়ে কোনো অভিযোগ তোলার সুযোগ পাবে না।
প্রসঙ্গত, প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষা-২০২৩ এর ৩য় ও শেষ ধাপের লিখিত পরীক্ষা (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ-০৩ টি পার্বত্য জেলা ব্যতীত) অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।