বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য আজ লড়াই করছি, এই গণতন্ত্র বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করছিলেন জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে গণতন্ত্র লালিত হয়েছে বেগম খালেদা জিয়া হাতে।
এই গণতন্ত্রের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি তিলে তিলে ভুগছেন।
আমরা তার জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করি এবং আগামী দিনে যাতে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে ইমানি দায়িত্ব নিয়ে এই সরকারকে পতন করতে সক্ষম হই।
বুধবার (০৩ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জিয়াউর রহমান। তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধের আহ্বান করেন। তার আহ্বান থেকে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। সেদিন জিয়াউর রহমানের আসার কথা ছিল না। যাদের আসার কথা ছিল, জনগণকে পথ দেখানোর কথা ছিল তারা আসেনি।
দ্বিতীয়বার ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের মানুষ ও সেনাবাহিনী একত্রিত হয়ে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে দেশের দায়িত্ব অর্পণ করেন। জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সামরিক অভ্যুত্থান করে ক্ষমতায় আসেন নাই। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সাধারণ মানুষের আহ্বানে তিনি এসেছিলেন। যে জনগণ জিয়াউর রহমানকে রাজনীতিতে এনেছিলেন সেই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে তিনি সক্রিয় ছিলেন, বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তার ওই প্রথম অঙ্গ সংগঠন হিসেবে যুবদল প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন বিপথগামী যুবকদের উৎপাদনমুখী সুস্থ ধারার রাজনীতি করার জন্য সংঘটিত করেছিল।
ইফতার মাহফিলের শুরুতে সদ্য কারামুক্ত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান যুবদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এছাড়াও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহীদ, গুম ও পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মীর পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন ফারুক, বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষকদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শামা ওবায়েদ, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, যুবদল নেতা মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, নুরুল ইসলাম নয়ন, জাকির হোসেন নান্নু, জাকির সিদ্দিকী, রুহুল আমীন আকিল, কামরুজ্জামান দুলাল, গিয়াস উদ্দিন মামুন প্রমুখ।