দক্ষ বিচার বিভাগ গঠনে বিশ্বমানের জুডিশিয়াল একাডেমি প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী

anisul haque
ফাইল ছবি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দক্ষ বিচার বিভাগ গঠনের জন্য দেশে একটি শক্তিশালী ও বিশ্বমানের জুডিশিয়াল একাডেমি অত্যন্ত প্রয়োজন। ভূমি অধিগ্রহণ শেষ করে আগামী নভেম্বর মাস নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এই একাডেমির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। এই বিশ্বাস যে সঠিক বিশ্বাস তা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলা ভাষায় একটি কথা প্রচলিত আছে- ‘কোমর বেঁধে লেগে যাবা’। তাই বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোমর বেঁধে লেগে যেতে হবে। এখন থেকে এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে প্রতি তিন মাস পরপর সভা করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৪-২৫ এর খসড়া চূড়ান্তকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে আইন ও বিচার বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার সভায় সভাপতিত্ব করেন। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে লিগ্যাল এইড (আইনি সেবা) প্রদানের কথা উল্লে­খ থাকলেও এর থেকে বেশি পরিমাণ সেবা প্রদানের পরামর্শ দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড বাড়াতে লিগ্যাল এইড অফিসারদেরকে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে নিয়মিত সভা করতে হবে। এই সভা নিয়মিত করা সম্ভব হলে সরকারের লিগ্যাল এইড কার্যক্রম অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে পরিচিতি পাবে।

মন্ত্রী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের লিগ্যাল এইড কার্যক্রম মানুষের কাছে পরিচিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ লিগ্যাল এইড নিতে আসবে না। মামলাজট নিরসনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল জনগণ যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার পায়। ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য জনগণকে যাতে দীর্ঘকাল অপেক্ষা করতে না হয়। বঙ্গবন্ধুর এই দর্শন প্রতিফলিত হয়েছে বাংলাদেশের সংবিধানে। সেখানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এবং জনগণ যাতে দ্রুত বিচার পায় সেজন্য একটি দক্ষ, বলিষ্ঠ ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দুঃখের বিষয় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দীর্ঘকাল বিচার বিভাগের কোনো উন্নয়ন হয়নি, সংবিধান মেনে চলা হয়নি এবং এরকম বিভিন্ন কারণে মামলাজট দিনের পর দিন বেড়েছে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর প্রথমেই বিচার বিভাগের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের ওপর জোর দেন। এর অংশ হিসেবেই প্রত্যেক জেলায় অত্যাধুনিক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিচার বিভাগের কলেবর বৃদ্ধি করা হচ্ছে।