জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও যশোরের সাংগঠনিক জেলা র্পুব আমীর মাষ্টার নুরুন্নবী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বুধবার রাত সোয়া ১১টায় ৬৫ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে।
বৃহস্পতিবার বাদ জোহর যশোরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক,পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ কয়েক হাজার মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার।
এসময় জানাজার আগে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, মাস্টার নুরুন্নবী তার জীবদ্দশায় সমাজে আল্লাহর হুকুম, ন্যায় ও সততা প্রতিষ্ঠায় সব সময় অবিচল ছিলেন। তার রাজনৈতিক জীবনে অনেক ত্যাগ রয়েছে। মানুষের কল্যান, জমিনে আল্লার দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে তিনি জীবদ্দশায় জুলুমের শিকার হয়েছেন। অসংখ্যবার জেল খেটেছেন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার একটি গণঅভূত্থানের মাধ্যমে আমার যে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। সেই সংগ্রামে মাস্টার নুরুন্নবী প্রথম সারির সৈনিক ছিলেন। স্বৈরাচার জুলুমবাজ, অত্যাচারী সরকার সেই সংগ্রামে বিতাড়িত হয়েছে বটে, তিনি সেটি দেখে যেতে পারলেও তিনি আর আমাদের মাঝে থাকতে পারলেন না। তাই আল্লাহর কাছে আমাদের একটি চাওয়া তিনি যেনো তাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন। এসময় তিনি আমীরে জামায়াতের পক্ষ থেকে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য যশোরবাসীর কাছে দোয়া চান।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, গত ৬ আগস্ট জামায়াতের এ বর্ষীয়ান নেতা সাংগঠনিক কাজের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এসময় প্রথমে তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে হয়ল উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
জীবদ্দশায় রাজনীতির পাশাপাশি যশোরের বাদশাহ ফয়সাল ইসলামি ইনিস্টিটিউট নামে একটি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। প্রায় তিন যুগধরে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন । ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্র শিবির করতেন । জীবন চলার পথে তিনি যশোরের সব মহলের কাছে অতি সৎ ও নিরহংকার ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
নামাজে জানাজা শেষে যশোর শহরের বকচর এলাকায় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
জানাজার আগে জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল ছাড়াও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, মরহুমের একমাত্র পুত্র সন্তান ইঞ্জিনিয়ার সাদিক ফয়সাল, জামায়াতের কেন্দ্রীয় পরিচালক যশোর কুষ্টিয়া অঞ্চল মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য পরিচালক খুলনা অঞ্চল মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক ,কেন্দ্রীয় করম পরিষদের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, নায়েবে আমির বেলাল হুসাইন,যশোর সাংগঠনিক জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল, সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, যশোর পশ্চিম জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান,
সূরা সদস্য এডভোকেট গাজী এনামুল হক, জেলা সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা রেজাউল করিম, সহকারি সেক্রেটারি অধ্যাপক শামসুজ্জামান, জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহবুদ্দিন বিশ্বাস যশোর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তফা কামাল, পৌর উত্তর থানা আমির নুর আলা আল-মামুন, পৌর দক্ষিণ আমির, ইসমাইল হোসেন সদর উত্তর আমির অধ্যাপক আব্দুল হক, যশোর সদর দক্ষিণ আমির অধ্যাপক আশরাফ হোসেন, পেশাজীবী থানার সভাপতি খন্দকার রশিদুজ্জামানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।