যশোরে ৬ বছর পর সন্ত্রাসী পাগলা শাহিনকে হত্যার অভিযোগে মামলা

jessore map

৬ বছর পরে যশোর রাজারহাট এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী পাগলা শাহিনকে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। রামনগর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফ এবং মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা খানমসহ ১০জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাগলা শাহিনর বোন সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত শুকুর মোল্যার মেয়ে ফারজানা ইয়াসমিন শান্তা এই মামলাটি করেছেন।

বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ এই ঘটনায় আর কোন মামলা হয়েছে কিনা ১০টি কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মণিরামপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্য আসামিরা হলেন, রামনগর গ্রামের শাহাজাহান আলীর তিন ছেলে আলাউদ্দিন মুকুল, টুটুল ও টিপু, মৃত আজগর আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, নিজাম উদ্দিনের দুই ছেলে নাসির ও পারভেজ, মৃত মোস্তফা দাফাদারের ছেলে মোহিত ও মণিরামপুর উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে মামুন।

বাদী ফারজানা ইয়াসমিন শান্তা মামলায় বলেছেন, তার পাগলা শাহিনের সাথে আসামিদের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিলো। সে কারণে আসামিরা একাধিকবার পাগলা শাহিনকে হত্যার জন্য চেষ্টা করে। ফলে জীবন বাঁচাতে পাগলা শাহিন তার বোন মণিরামপুরের নাদড়া গ্রামে ভগ্নিপতি আবুল কাসেমের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ২০১৮ সালেল ১১ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা নাদড়া গ্রামে আবুল কাসেমের বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় অস্ত্রের মুখে ওই বাড়ির লোকজনদের জিম্মি করে পাগলা শাহিনকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে চলে যায়। বিভিন্নস্থানে খোঁজখর নিয়েও তার কোন সন্ধান পাননি বাদী এবং তার পরিবার। ১৩ সেপ্টেম্বর ভোরে মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী গ্রামস্থ্য এআর জুট মিলের কাছে একটি ঝোপের ভিতরে পাগলা শাহিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় শালিখা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে ওইদিনই মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্তু এই ব্যাপারে বাদী পক্ষ মণিরামপুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। ফলে বাদ্য হয়ে গতকাল আদালতে এই মামলাটি করেছেন।

উল্লেখ্য পাগলা শাহিন প্রয়াত সদর উপজেলা যুবলীগের সাধালন সম্পাদক আলমগীর হোসেন হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ছিলো।