অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রোটেকশন অব সিভিল রাইটস-এপিসিআর’র জাতীয় সম্পাদক নাদিম খানের বিরুদ্ধে সম্প্রদায়িক অশান্তি উস্কে দেওয়া এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এফআইআর-ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। গত ৩০ নভেম্বর ‘মোদী সরকারের ভারতীয় রেকর্ড’ শিরোনামে তার একটি ইউটিউব ভিডিওকে কেন্দ্র করে এই এফআইআর দায়ের করা হয়।
সম্প্রতি, ভারতের এই মুসলিম মানবাধিকার কর্মীকে পুলিশের দ্বারা হয়রানির বিরুদ্ধে ‘কনসার্নড সিটিজেন্স’ ব্যানারে দিল্লির প্রেস ক্লাবের সামনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। এই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী, বিশিষ্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, লেখক, আন্দোলনকারী এবং রাজনীতিবিদরা।
এই ঘটনায় মানবাধিকার কর্মী এবং আইনজীবীরা নাদিম খানের প্রতি চলমান হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের পদক্ষেপ স্বাধীন মত প্রকাশের মৌলিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে।
এক প্রেস কনফারেন্সে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘ঘৃণামূলক অপরাধের প্রতিবেদন করা কিংবা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা অপরাধ হতে পারে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘যারা ঘৃণামূলক ভাষণ ছড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষদেরই টার্গেট করছে।’
এদিন, নাদিম খানের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশি হয়রানি ও অনিয়মের কথা তুলে ধরেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিজাম পাশা। তিনি বলেন, এফআইআর দায়ের করার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দিল্লি পুলিশ বেঙ্গালুরুতে নাদিম খানের ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। তিনি বলছেন, মানবাধিকার কর্মীদের ভয় দেখানোর জন্য পুলিশ আইনকে ভুলভাবে ব্যবহার করছে।
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা আরও বলেন, পুলিশি হয়রানি মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি দেশে গণতন্ত্রের মৌলিক স্তম্ভের জন্যও হুমকি।