৬ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত দিবস উপলক্ষে গতকাল বিকেলে এক বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম যশোর ইন্সটিটিউট পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে র্যালীর উদ্বোধন করেন। এসময় যশোরের স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এম শাহিন আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর আলম সিদ্দিকী, যশোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বিএফইউজের সাবেক সহকারী মহাসচিব নূর ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহাসিন মন্টু, আবুল হোসেন,গোলাম মোস্তফা, সিদ্দিকুর রহমান, ফেরদৌসী বেগম,বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকন,
জামায়াতের জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারী বেলাল হোসেন, প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম,আনছারুল হক খোকন,এডিসি রেভিনিউ সুজন সরকার, যশোর ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ, জেইউজে সভাপতি আকরামুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ, বাংলাদেশ ফটো জার্ণালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম আর খান মিলন, অধ্যক্ষ শাহিন ইকবাল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান, মারুফ হোসেনসহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। রং বেরংয়ের ব্যানার, প্লাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে যশোর মুক্ত দিবসের র্যালীতে অংশ নেন যশোরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ। র্যালী শুরুর আগে শত সহ¯্র কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে নিহত শহীদদের এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করা হয়। পরে বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে র্যালীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। র্যালীটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা মঞ্চ চত্বরে এসে শেষ হয়।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৬ ডিসেম্বর পাকহনাদারদের কবল থেকে মুক্ত হয় যশোর। এদিনে যশোরের মুক্তিকামী ছাত্রজনতার ঐক্যবদ্ধ আক্রমনের মুখে যশোর সেনানীবাস থেকে পাকবাহিনীর শত শত অফিসার ও সৈনিক অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়ে খুলনার দিকে চলে যায়। যশোর শত্রুমুক্ত হয়।সেদিন বিকেলেই কয়েকশ’ মুক্তিযোদ্ধাসহ হাজার হাজার মুক্তিকামী জনতা শহরে আনন্দ মিছিল বের করে।