যশোরের চৌগাছা থানার বিতর্কিত ওসি সেই পায়েল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুধুই তাই না, তাকে খুলনা রেঞ্জ থেকে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার নানা অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তার নানা অপকর্মের বিষয়টি সামনে উঠে আসে। এদিকে, পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এমনকি কয়েকটি ঘটনার সত্যতাও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। যদিও পায়েল তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ও শাস্তি ঠেকাতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছিলেন। ধর্না ধরেছিলেন বিভিন্ন দপ্তরেও। সব চেষ্টায় তার ব্যর্থ হয়েছে।
চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর পায়েল হোসেন ঢাকার রমনা থানা থেকে বদলি হয়ে চৌগাছা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেন। দেড়মাসের ব্যবধানে তাকে নিয়ে মুখে মুখে সমালোচনার ঝড় উঠে। পায়েল থানার প্রাচীরের মধ্যে নিজ বাংলোতে টর্চার সেল পরিচালনা,ঘুষ, রিমান্ড বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছেন এমন অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। এর কয়েকদিন পরেই তার একটি ভিডিও কলে কথোপকথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যা নিয়ে নেট দুনিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়। বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে পুলিশ। জেলা পুলিশ তাকে ক্লোজড করে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন,ওসি পায়েলের বিরুদ্ধে গঠন হওয়া তদন্ত কমিটির কার্যক্রম এখনো চলমান। এখনি কিছু বলা যাচ্ছেনা। তিনি বলেন তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে সুপারিশ করা হয়েছিলো। যা মঞ্জুর হয়েছে। প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর সত্যতা মিললে বিভাগীয় মামলা করা হবে এবং চাকুরির বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।