মিজোরামে অস্ত্রের চালানে নাম জড়ানোর বিষয়ে ইউপিডিএফের বিবৃতি

ভারতের মিজোরামে জব্দ হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি করেন ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা।

তিনি বলেন, মিজোরাম পুলিশের প্রেস বিবৃতির বরাত দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যমে মিজোরামের মামিত জেলার পশ্চিম ফাইলেং থানাধীন সাইথাং গ্রামে একটি অস্ত্রের চালান জব্দের সংবাদ প্রকাশিত হয়। মিয়ানমারের চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (সিএনএফ) এবং ইউপিডিএফের মধ্যে এসব অস্ত্র লেনদেন হচ্ছিল বলে উল্লেখ করা হয় সেসব প্রতিবেদনে। এসব তথ্য আদৌ সত্য নয়।

জব্দ হওয়া অস্ত্রের চালান ও সিএনএফ-এর সঙ্গে ইউপিডিএফের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই দাবি করে অংগ্য মারমা বলেন, যে এলাকায় অস্ত্রের চালানটি জব্দ হয়েছে তা বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে এবং এই সীমান্ত অঞ্চলটি জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সন্তু লারমা গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে। অস্ত্রের চালানটি ধরা পড়লে তা ইউপিডিএফের কাছে যাচ্ছে বলে স্বীকারোক্তি দিতে ধৃত অস্ত্র চোরাকারবারিদের সঙ্গে চালান গ্রহীতাদের গোপন বোঝাপড়া থাকতে পারে বলে মন্তব্য অংগ্য মারমার।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, অস্ত্রের ক্রেতারা নিজেদের আড়াল করতে ও ইউপিডিএফের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার হীন উদ্দেশে ইউপিডিএফের নাম জড়ানো হয়েছে।

অংগ্য মারমা বলেন, ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন। দেশের অন্যান্য গণতান্ত্রিক সংগঠনের মতোই ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকভাবে তার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কাজেই অস্ত্রের চালানের সঙ্গে ইউপিডিএফের জড়িত থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

এর আগে গতকাল বুধবার ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামের সীমান্ত জেলা মামিতের সাইথাহ গ্রাম থেকে বিশাল অস্ত্রের চালান জব্দ করে স্থানীয পুলিশ। অস্ত্রের এই চোরাচালানে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ ও মিয়ানমারের সিএনএফ জড়িত বলে দাবি করে মিজোরাম পুলিশ। এ সময় সিএনএফ নেতাসহ অন্তত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে জব্দ হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ছিল ছয়টি একে-৪৭ রাইফেল, ১০ হাজার ৫০ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ১৩টি ম্যাগাজিন।