জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এখনো চলছে। যতদিন এদশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত না হচ্ছে ততোদিন বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে রাজপথে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে বিএনপি এদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গত ১৭ বছর রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে। তাই দেশ বাঁচাতে ও দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ভেদাভেদ ভুলে রাজপথে সক্রিয় থাকার আহবান জানান বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
গতকাল শনিবার বিকেলে যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর মাঠে ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অমিত এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, সদস্য সচিব এ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য মিজানুর রহমান খান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, বিগত ১৭ বছরে কৃষকের ভোট ছাড়াই জনপ্রতিনিধি হয়েছে। সেই কথিত জনপ্রতিনিধিরা কৃষকের ভাগ্যের উন্নয়নে কিছুই করেনি। যাদের কৃষকের ভোটের প্রয়োজন হয়নি তাদের কাছে কৃষক বাঁচলো কি মরলো তাতে কিছু যায় আসেনি।
অমিত আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, আগামীতে যদি কৃষক শ্রমিক জনতার ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পায় তাহলে প্রতি কৃষকের জন্য কৃষি কার্ড চালু করা হবে। সুলভ মূল্যে তাদের মাঝে সার বীজ কীটনাশক সরবরাহ করা হবে। শস্য বীমা চালু করা হবে। সেই বীমর টাকাও রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রদান করা হবে। পাশাপাশি প্রতিটি পণ্য উৎপাদনের ভর্তুকি প্রদান করা হবে। মহিলাদের জন্য পারিবারিক কার্ড চালু করা হবে। যে কার্ডের টাকার মাধ্যমে মহিলারা সন্তানদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে সাংসারিক ব্যয় বহন করতে পারবে। তিনি বলেন, যশোর মেডিকেল কলেজ বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যমে তরিকুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল তৈরি করতে পারেনি। তাই আগামীতে জনগণের ভোটে তারেক রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে যশোর মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল তৈরি করা হবে।