জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে জুলাই থেকে। এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে তাদের জন্য মহার্ঘ্য ভাতা নয়, ঘোষণা করা হয়েছে বিশেষ সুবিধা। জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি–বেসামরিক, স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের (পুনঃস্থাপনকৃত) জন্য এই বিশেষ সুবিধা কার্যকর হবে। তবে বিনা বেতনে ছুটিতে থাকা কর্মচারীরা এই বিশেষ সুবিধা পাবেন না।

মঙ্গলবার (৩ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ প্রবিধি-৩ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দিলরুবা শাহীনা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ বিশেষ সুবিধা চাকরিরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা ও পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হবে। ১ জুলাই থেকে বেতন গ্রেডভেদে গ্রেড-১ ও তদূর্ধ্ব থেকে গ্রেড-৯ পর্যন্ত ১০ শতাংশ এবং গ্রেড-১০ থেকে গ্রেড-২০ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়া হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএলে যাওয়ার আগপর্যন্ত সবশেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের ভিত্তিতে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন। পেনশন পুনঃস্থাপনকৃত কর্মচারীরা সরকার থেকে পেনশন গ্রহণকারী কর্মচারীদের পেনশনের বিদ্যমান অংশের ওপর বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন।

যেসব অবসর গ্রহণকারী কর্মচারী মোট পেনশনের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন এবং এখনো পেনশন পুনঃস্থাপনের উপযুক্ত হননি, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।

বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করে আসছে। কর্মচারীদের এ আন্দোলনে সচিবালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম কার্যত থেমে যায়। অধ্যাদেশটিতে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এ অবস্থায় এ প্রণোদনাকে অনেকেই আন্দোলনের ফসল মনে করছেন।