যশোরের অভয়নগরে বিদেশফেরত যুবক হাসান শেখকে (২৮) গলাকেটে হত্যার ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার (১৬ জুন) রাতভর অভিযান চালিয়ে অভয়নগর থানার পুলিশ উপজেলার নাউলী গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,নাউলী গ্রামের শাহাজান শেখের ছেলে হাসিবুর রহমান সাগর,জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে ইনামুল ওরফে ইমামুল, মৃত মাজেদ শেখের ছেলে জিলহজ শেখ, ইনতাজ শেখের ছেলে হাবিবুল্লাহ ওরফে জামিল শেখ এবং তবিবুর শেখের ছেলে অহিদুজ্জামান শেখ চঞ্চল।
নিহত হাসান শেখ অভয়নগর উপজেলার নাউলী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছোট ছেলে। ২০১৮ সালে কুয়েতে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি এবং সেখানে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কাজ করতেন। দীর্ঘ সাত বছর পর তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং মাত্র দুই মাস আগে বিয়ে করেন। ছয় মাস ছুটিতে দেশে আসা হাসানের চার মাস কেটে যায় এবং আরও দুই মাস পর তার কুয়েতে ফেরার কথা ছিল।
গত শনিবার (১৪ জুন) রাতে হাসান শেখ বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশে আড্ডা দেন। রাত ১০টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। দুই দিন পর,১৬ জুন বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি মাছের ঘেরের পাড় থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মুন্না হোসেন বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি জয়নাল গাজী পলাতক রয়েছেন।অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রত্যেকেই হাসান শেখের পরিচিত ও তার সঙ্গে চলাফেরা করত। বিভিন্ন সময় তারা তার কাছ থেকে টাকা-পয়সা ধার নিত। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এই লেনদেন ও ব্যক্তিগত বিরোধের জেরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পলাতক আসামি জয়নাল গাজীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।