গ্রুপ ‘বি’ : রোনালদোর চমক নাকি স্পেনের পুনরুত্থান?

স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। অংশগ্রহণকারী দলগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ৩২টি দল ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রথম গ্রুপপর্বে খেলবে। প্রতি গ্রুপে চারটি দল নিজেদের মধ্যে খেলবে। এরপর প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল শেষ ষোলতে অংশ নেবে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জেনে নেওয়া যাক গ্রুপগুলোতে কোন দলের কেমন অবস্থান—

বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপের দলগুলো হচ্ছে পর্তুগাল, স্পেন, মরক্কো ও ইরান। এর মধ্যে স্পেনই একমাত্র দল যারা বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটি স্পর্শ করতে পেরেছে। এবং স্পেনই একমাত্র ফেভারিট দলের তালিকায় রয়েছে। পর্তুগালের রয়েছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো মতো বিশ্বসেরা ফুটবলার। অন্যদিকে স্পেনের এবারের তারকা খেলোয়াড় সার্জিও রামোস। রোনালদো এবং রামোস স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের সতীর্থ। মাত্রই জয় করে এসেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি।

স্পেন ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন এবারের আসরেও রয়েছে ফেভারিটের তালিকায়। গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী এ দলটি বিশ্বকাপ ঐতিহ্যেও বাকি তিনটি দল থেকে এগিয়ে আছে বহুগুণ। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরে অংশ নেওয়া দলটি এ পর্যন্ত খেলেছে ১৪টি আসর। দলটির অধিনায়ক সার্জিও রামোস বিশ্বের অন্যতম দুর্ধর্ষ ডিফেন্ডার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মিসরের মোহাম্মদ সালাহকে ট্যাকেল করতে গিয়ে কিছুটা সমালোচনার মুখে পড়েছেন যদিও। তবু আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জেরার্ড পিকু, দাভিদ সিলভা, ইসকোর মতো ফুটবলারদের সাজানো একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়েই রাশিয়া যাচ্ছে স্প্যানিশরা। দলটির ফিফা র‌্যাঙ্কিং : ৮।

পর্তুগাল ইউরোপের এই দেশটি এ সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিতে রাশিয়া যাচ্ছে। ১৯৬৬ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই সেমি ফাইনালে ওঠে তারা, অর্জন করে তৃতীয় স্থান। টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত এটিই তাদের সেরা সাফল্য। তবে ২০০২ এর বিশ্বকাপ থেকে নিয়মিতই বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে দলটি। ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছে নিজেদের। বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নও তারা। দলে আছেন রোনালদোর মতো তারকা। যিনি একাই গড়ে দিতে পারেন যেকোন ম্যাচে ভাগ্য। এবারের আসরে তাই চমক দেখাতেই পারে দলটি। পর্তুগালের ফিফা র‌্যাঙ্কিং : ৪।

মরক্কো পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিতে রাশিয়া যাচ্ছে আফ্রিকার দেশ মরক্কো। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল দেশটি। বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য শেষ ষোলেতে ওঠা পর্যন্ত। সেটি ১৯৮৬ সালে। দলের সেরা তারকা হাকিম জুইয়াস। ২৫ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ডাচ ক্লাব এএফসি অ্যাজাক্সের হয়ে খেলেন। দলটির ফিফা র‌্যাঙ্কিং ৪৪।

ইরান এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল ইরান। সব মিলিয়ে চারবার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলেছে। তবে কোনোবারই গ্রুপপর্বের খাড়া পার হতে পারেনি। রাশিয়ায় পঞ্চমবারের মতো অংশ নেবে দলটি। ইরানের স্টার খেলোয়াড় সরদার আজমোন। ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড তাতারস্তানের ক্লাব রুবিন কাজানের হয়ে খেলেন। দলটির ফিফা র‌্যাঙ্কিং : ৩৬।

গ্রুপ প্রেডিকশন :স্পেন,পর্তুগাল,মরক্কোইরান

গ্রুপের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় :ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল) : ১২৭.৫ মিলিয়ন ডলার (রিয়াল মাদ্রিদ)

যে রেকর্ডটি হতে পারে :পর্তুগাল যদি এবার বিশ্বকাপ জেতে তবে তারা হবে চতুর্থ দল যারা টানা দুইটি বড় শিরোপা জিতবে। প্রথমবার এ রেকর্ড গড়েছিল পশ্চিম জার্মানি ( ইউরো ১৯৭২, বিশ্বকাপ ১৯৭৪)। ফ্রান্স (বিশ্বকাপ ১৯৯৮, ইউরো ২০০০) ও স্পেন (ইউরো ২০০৮, বিশ্বকাপ ২০১০, ইউরো ২০১২)।